জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শুরু - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
১৩ নভেম্বর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতির পদ হারালেন অধ্যাপক এনামুল  দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ১১৩ বার দেখা হয়েছে
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।

উল্লেখ্য, এর আগে ৭ মে আপিল বিভাগ ১৩ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করে। যদিও গত ১২ মার্চ একবার শুনানি শুরু হয়েছিল, তবে তা এগোয়নি। পরে আপিল বিভাগ আবারও শুনানির উদ্যোগ নেয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত, যা দলটিকে আইনি লড়াইয়ের নতুন সুযোগ এনে দেয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট একটি রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এছাড়া, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন এনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাতিল করা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর দাবি, দলটি ১৯৮৬ সাল থেকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করে আসছে এবং এটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বর্তমানে দলটি নিবন্ধন ও প্রতীক না থাকায় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, একই বছরের ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT