
রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, ভারতের ওই কূটনীতিক বৈঠকটি গোপন রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের সবাইকে সবার প্রতি খোলা মনোভাব রাখতে হবে। সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। আমরা অন্তত পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল দেশ চাই।”
শফিকুর রহমান আরও বলেন, জাতীয় সরকারের জন্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি একটি যৌথ লক্ষ্য হওয়া উচিত। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই দলের নেতা, যিনি সর্বোচ্চ আসন পাবে। জামায়াত যদি সর্বোচ্চ আসন পায়, তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা দল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি, তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। পাকিস্তানের সঙ্গে অতীত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কোনো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে পড়তে চাই না।”
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদে কোনো সরকার স্বস্তিতে থাকবে না।