ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় গাজায় সহায়তা বন্ধ এর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
রবিবার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, তারা গাজায় সমস্ত পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ করে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জানালেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি হামাস – ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী – ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তাহলে “অতিরিক্ত পরিণতি” হতে পারে।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি যে সহায়তা সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে কি না।
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়, যেখানে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল, শনিবার শেষ হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি, যেখানে হামাস অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
Trump administration has approved nearly $12 billion in major foreign military sales to Israel since taking office in January
🔗 https://t.co/iXut8xV0j2 pic.twitter.com/uYPLWovxqt— TRT World (@trtworld) March 2, 2025
রবিবার ইসরায়েল একটি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে, যাতে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর একটি সাময়িক সমঝোতার মাধ্যমে তা বাড়ানো যায়।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি সপ্তাহান্তে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে দ্বিতীয় পর্যায় নিশ্চিত নয়, যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা আনতে পারে।
এখন পর্যন্ত আলোচনার ফলাফল অনিশ্চিত, কারণ গাজায় আটক বন্দিদের ভাগ্য এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনির জীবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছে।
হামাস নেতা মাহমুদ মারদাবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এলাকায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার উপায় হলো চুক্তির বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা… যা দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন দিয়ে শুরু করতে হবে।”
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড