ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যখন ষষ্ঠ দিনে পৌঁছেছে, ঠিক তখনই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুমকির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একাধিক পোস্ট দিয়ে খামেনি জানালেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলো।’
খামেনি তার পোস্টে লেখেন, ”আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় এবং নিকটবর্তী বিজয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্র, আল্লাহর ইচ্ছায়, জায়নবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করবে।”
পোস্টে তিনি ইরান থেকে মিসাইল ছোঁড়ার ছবি যুক্ত করেন।
খামেনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী জায়নবাদী ইসরায়েল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা জায়নবাদীদের কোনো দয়া দেখাব না।’ তার এই পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও ছিল, যেখানে এক ব্যক্তি তরবারি হাতে একটি দুর্গের প্রবেশপথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, আর আকাশ জুড়ে আগুনের রেখা।
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক হুমকি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তার ভাষায়, ‘ইরানের কাছে ভালো ট্র্যাকার ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থাকলেও, মার্কিন প্রযুক্তির সঙ্গে এসবের তুলনা চলে না।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা জানি তথাকথিত “সর্বোচ্চ নেতা” কোথায় লুকিয়ে আছেন। তবে এখনই তাকে হত্যা করব না। আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে।’
এই হুমকির ঠিক পরেই ট্রাম্প ‘আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার’ বা ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ দাবি করে পোস্ট দেন।
এদিকে, সংঘাতের ষষ্ঠ দিনে ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২২৪ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং এক হাজারের বেশি আহত।
সংঘাত থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কয়েকবার ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও উল্টো ইরান এখন লড়াইয়ের ঘোষণা দিলো। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।