ভারতে মুসলিমদের ওপর সহিংসতায় বাংলাদেশের উদ্বেগে মোদি প্রশাসনের আপত্তি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কুবি চৌদ্দগ্রাম স্টুডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ২০২৫-২৬ বর্ষের নতুন কমিটি ঘোষণা দিল্লির লাল কেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ- ৮ নিহত, মুম্বাইসহ চার রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা কুমিল্লার উজ্জল ইতিহাস রচনা করলেন হিমালয়ের তিন ট্রেইল সাইকেলে অতিক্রম করে শ্রীবরদীতে মহিলা দলের উঠান বৈঠক ও হুইলচেয়ার বিতরণ গুরুতর রোগীদের হজে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ, কঠোর স্বাস্থ্য যাচাই চালু গোয়ালন্দ মোড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেফতার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন জুলাই হত্যা মামলার রায় ১৩ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা — জাতীয় ঈদগাহে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ বুটেক্সে দুই দিনের পৃথক ঘটনায় তিনজনের সাময়িক বহিষ্কার ও ছয়জনের অর্থদণ্ড

ভারতে মুসলিমদের ওপর সহিংসতায় বাংলাদেশের উদ্বেগে মোদি প্রশাসনের আপত্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১১ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উদ্বেগে নয়াদিল্লির তীব্র প্রতিক্রিয়া, শান্তিপ্রিয় প্রতিবেশীর প্রতি অশালীন কূটনীতি

পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা মুর্শিদাবাদে নতুন ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে ১১ এপ্রিল যে প্রতিবাদ শুরু হয়, তা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলার কিছু অংশে। স্থানীয় মুসলিমদের আশঙ্কা, নতুন আইনের ফলে তাদের ধর্মীয় ও জমির অধিকার খর্ব হতে পারে।

প্রতিবাদের সময় কিছু এলাকায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছে, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো এসব বিক্ষোভে বাইরের প্রভাব, এমনকি বাংলাদেশের নাম টেনে এনে এক ধরনের প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে—যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

এর প্রেক্ষিতে, ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি গভীর উদ্বেগ ও আহ্বান জানায়।

কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এই শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বিবৃতির জবাবে নয়াদিল্লির আচরণ ছিল অপ্রত্যাশিত, কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও একতরফা দোষারোপমূলক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল  বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

“এটি একটি আড়াল করা এবং অসৎ প্রচেষ্টা। ভারতের সঙ্গে তুলনা টেনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা আড়াল করা হচ্ছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চলছে এবং অপরাধীরা বিচারের উর্ধ্বে।

এই বক্তব্যে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের পক্ষ থেকে এটি কেবল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি অসংবেদনশীল আচরণই নয়, বরং নিজ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি চলমান নিপীড়ন আড়াল করার একটি কৌশল।

ভারতের পক্ষ থেকে এমন ঘৃণাত্মক ও প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্য কেবল বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের মর্যাদাকেই অপমান করেনি, বরং দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

কূটনৈতিক শালীনতা ও বাস্তবতা বিবেচনায়, প্রশ্ন উঠছে—ভারত কি নিজের দায় এড়াতে বাংলাদেশকে টার্গেট করছে?

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT