ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের প্রায় ছয় মাস পর এ সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের শুরু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সেসময় অভ্যন্তরীণ ঘাটতির আশঙ্কায় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত, যা ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।
এদিকে, বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও রপ্তানি বন্ধ থাকায় সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন ভারতীয় কৃষকরা। ফলে তারা আন্দোলনে নামেন।
প্রথমদিকে রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
পরে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে ১৩ সেপ্টেম্বর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
তবে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সেটিও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
ভারতের শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় কৃষকদের জন্য বড় ধরনের সুবিধা হবে।
কারণ তারা এখন বিশ্ববাজারে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন এবং মূল্য বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।
এ পদক্ষেপ ভারতের কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য পেঁয়াজ সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো পেঁয়াজ আমদানিকারক দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়বে এবং বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সহায়ক হবে।