১১ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন ইসলামী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
নির্বাচন সামনে রেখে পেছালো বিশ্ব ইজতেমা জামায়াত ভোটের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে আগ্রহী, ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তি কঠোর, জরিমানা সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক প্রতিনিধি দল; ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ বহু দেশ ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজায় বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া, সংসদ ভবন এলাকায় জনসমুদ্র খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মানিক মিয়া এভিনিউতে এক ব্যক্তির মৃত্যু খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুললেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী তারেক রহমানকে সহমর্মিতা পাকিস্তানের স্পিকারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার দাফন, লাখো মানুষের উপস্থিতিতে রাজসিক বিদায় ডিআইইউ মডেল ইউনাইটেড নেশন ২০২৫-এ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় সাফল্য

১১ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন ইসলামী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩০৮ বার দেখা হয়েছে
দীর্ঘ ১১ বছর পর জামিনে মুক্ত ফারাবী

দীর্ঘ ১১ বছরের কারাবাস শেষে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন জনপ্রিয় ইসলামী লেখক ও ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। আদালতের আদেশের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন যে তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা বাকি নেই, এরপরই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে. এম. রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত করার আবেদন করলেও চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন, ফলে হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকে।

আদালতে ফারাবীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এস. এম. শাহজাহান ও মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, মামলার অন্য আসামিদের কোনো স্বীকারোক্তিতে ফারাবীর নাম নেই, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী তাকে অভিযুক্ত করেনি, এমনকি তিনি নিজেও কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। অথচ ২০২১ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এরপর সেই বছরই ফারাবী হাইকোর্টে আপিল করেন এবং দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎ রায় খুন হন এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৬ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্টে তার মামলার কার্যক্রম চলমান থাকলেও আজকের জামিন তার পরিবারের কাছে এক নতুন আশার আলো। ফারাবীর সমর্থকরা বলছেন, এই মুক্তি প্রমাণ করেছে যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে দীর্ঘদিন বন্দি রাখা হয়েছিল।

মুক্তির খবরে তার পরিবার, সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময় কারাগারে কাটানোর পর আজকের এই দিনটি তাদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি আইনের প্রতি আস্থার প্রতীক।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT