খরার কবলে পড়েছে মরক্কো। মরক্কোর রাজা মোহাম্মদ ষষ্ঠ বুধবার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের ঈদুল আযহায় ভেড়া কোরবানি থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি খরার ফলে দেশের গবাদিপশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এবারের ঈদুল আযহা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে নিজের পুত্রকে কোরবানি করার প্রস্তুতির স্মরণে ঈদুল আযহা পালন করা হয়। মুসলমানরা এই উপলক্ষে সাধারণত ভেড়া বা ছাগল কোরবানি করে, যার মাংস পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং দরিদ্রদের দান করা হয়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, টানা খরার কারণে ২০২৫ সালে মরক্কোর গবাদিপশুর সংখ্যা ৯ বছর আগের সর্বশেষ জনগণনার তুলনায় ৩৮% হ্রাস পেয়েছে।
“আপনাদের এই ধর্মীয় বিধান পালনের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেও আমাদের অবশ্যই দেশের জলবায়ু ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর কথা বিবেচনা করতে হবে, যা গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক হ্রাসের দিকে নিয়ে গেছে,” রাজা এক চিঠিতে বলেছেন, যা তার পক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তৌফিক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ওউলা-তে পড়ে শোনান।
তিনি আরও বলেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই বিধান পালন করা আমাদের জনগণের একটি বিশাল অংশ, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বয়ে আনবে।”
এ বছর গড় বৃষ্টিপাত গত ৩০ বছরের তুলনায় ৫৩% কম ছিল, যার ফলে গবাদিপশুর জন্য প্রয়োজনীয় চারণভূমির সংকট তৈরি হয়েছে। মাংস উৎপাদন কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে গেছে এবং জীবিত গরু, ভেড়া ও লাল মাংসের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি মরক্কো অস্ট্রেলিয়া থেকে ১,০০,০০০ পর্যন্ত ভেড়া আমদানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২০২৫ সালের বাজেটে মরক্কো গবাদিপশু, ভেড়া, উট এবং লাল মাংসের আমদানি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) স্থগিত করেছে, যাতে দেশীয় বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখা যায়।
সূত্র: রয়টার্স