
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় ২২টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, লাল কেল্লার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি হুন্দাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আশেপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তা ও আশেপাশের এলাকা ছিন্নভিন্ন মরদেহে ভরে গেছে এবং ভবনের জানালা ও দরজা কেঁপে উঠেছে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ। স্থানীয় উপপ্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একে মালিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনার তৎপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
বিস্ফোরণের পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরিস্থিতি জানিয়েছেন। লাল কেল্লা ও আশেপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মুম্বাই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে সংবেদনশীল ধর্মীয় স্থান, সীমান্ত এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। লখনউ থেকে রাজ্য পুলিশ টহল ও তল্লাশি অভিযান বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, লাল কেল্লা পুরনো দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত এবং দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও পর্যটনকেন্দ্র। বছরের প্রতিটি সময়ই এই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভিড় জমায়। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই বিস্ফোরণ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগেই ঘটেছে; বিহার রাজ্যের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণের একদিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।