ধীরে ধীরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে শেখ হাসিনার মৃত্যুর খবর। বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ কমিউনিটি “পাবলিকিয়ান পরিবার” এর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে University Insiders নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে লেখা হয়েছে,
“শেখ হাসিনাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি, দিল্লির একটি পার্কে হাঁটছিলেন তিনি। খবর ফিনান্সিয়াল টাইমস, ১৮ সেপ্টেম্বর।
ডিসেম্বরে তার মৃত্যুর পরেই মূলত নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে তার ভয়েজ ব্যবহার করে ফেক অডিও বার্তা ছাড়ানো হয়।
দিল্লি খবরটি কঠিন গোপনীয়তায় রাখলেও সম্প্রতি তাদের অভ্যন্তরীণ দলিল থেকে একজন সেটা ফাঁস করে দিয়েছে।”
এই পোস্টের কমেন্টে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
তবে পোস্টটির সত্যতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কেননা, এখন পর্যন্ত বিশ্বস্ত কোনো নিউজ মিডিয়ায় এই ধরণের কোনো সংবাদ শোনা যায়নি। আপাতত ধারণা করা যাচ্ছে যে এটি নিতান্তই একটি মুখরোচক গুজব। তবে বিষয়টি সত্য হোক, মিথ্যা হোক, সার্কাজম হোক-নেটিজেনদের মাঝে বেশ উপভোগ্য আলোচনার টপিক হয়ে উঠতে পেরেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এদিকে, দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো একটি গুজব, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রমের ভিত্তিতে অনেকে বিশ্বাস করেন, এই ধরনের খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
গুজব মোকাবিলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই না করে তা শেয়ার করা উচিত নয়, বিশেষত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে। অন্যদিকে, অনেকেই দাবি করছেন, এ ধরনের গুজব ছড়ানো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।