কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীর আলু চাষীরা মহাসড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলার সামনের মহাসড়কে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চাষীরা ভাড়া কমিয়ে আগের মূল্য নির্ধারণের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে কৃষকরা মোহনপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। অনেক কৃষককে প্রতিবাদে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায়।
বর্ধিত উৎপাদন খরচ ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ
কৃষকদের অভিযোগ, এ বছর আলু চাষে বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপাদানের খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। তার ওপর কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া দ্বিগুণ করায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত বছর ৭০ কেজির এক বস্তা আলু সংরক্ষণে ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা, যা এ বছর বেড়ে ৫৬০ টাকা হয়েছে। প্রতি কেজিতে ভাড়া ৪ টাকা থেকে বেড়ে ৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
কৃষকদের হুঁশিয়ারি ও ক্ষোভ
মোহনপুর মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং আলু চাষী ইউনুস আলী জানান, ভাড়া কমিয়ে পূর্বের মূল্য নির্ধারণ না করলে চাষীরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, “আমি ১৮০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কেজিপ্রতি খরচ হয়েছে ২২ টাকা। অথচ পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে। এমনিতেই আমরা লোকসানের মুখে। সেখানে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অনৈতিক।”
কৃষকদের অভিযোগ, কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা কৌশলে আলুর দাম কমিয়ে কম দামে কিনে মজুত করবে এবং পরে বেশি দামে বিক্রি করবে।
তানোর উপজেলার আলু চাষী মো. লিমন আহমেদ বলেন, “রাজশাহীর ৩৬টি কোল্ড স্টোরেজে ৯২ লাখ বস্তা আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব। এক বস্তা থেকে অতিরিক্ত ২৮০ টাকা লাভ করলে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে অন্তত ২৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।”
Leave a Reply