চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে নজিরবিহীন মহাজাগতিক ঘটনা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবি ভর্তি আবেদন শুরু ২৩ নভেম্বর, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বালিয়াকান্দিতে আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু ক্যাম্প, শতাধিক দরিদ্র রোগী পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প—কুবির পাঁচ কৃতি শিক্ষার্থীর বিসিএস জয়যাত্রা বিবিসিতে শেখ হাসিনা অস্বীকার করলেন গণঅভ্যুত্থান হত্যা অভিযোগ জুলাই সনদে আইনি সিল, এক ঘোষণায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙলেন ইউনূস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ৪৪তম ও ৪৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা–লুটপাট: আড়াই মাস পর ৯৬ জনের নামে মামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘোষণার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল কুবির বিজয়-২৪ হলে বিতর্ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম কুবির অলি উল্লাহ

চাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, হতে পারে নজিরবিহীন মহাজাগতিক ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪৬ বার দেখা হয়েছে

২৯ জুলাই ২০২৫

আগামী ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে ঘটতে পারে এক ব্যতিক্রমী মহাজাগতিক দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’ নামের একটি বিশাল গ্রহাণু—যার উপাধি ‘সিটি-কিলার’—চাঁদের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বর্তমানে ৪.৩ শতাংশ, যা আগের ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়েছে।

প্রায় ২০০ ফুট প্রস্থ এবং ১৫ তলা ভবনের সমান উচ্চতার এই মহাজাগতিক বস্তুটি চাঁদে আঘাত হানলে সৃষ্টি হতে পারে বিশাল এক বিস্ফোরণ। এতে প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা হবে দশকের মধ্যে সবচেয়ে দৃশ্যমান মহাকাশীয় ঘটনা—এমনকি সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও তা দেখা যাবে।

যদিও এই সংঘর্ষ চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন আনবে না এবং সরাসরি পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে এর ধ্বংসাবশেষ বুলেটের গতিতে পৃথিবীমুখী হতে পারে। এতে করে উপগ্রহ, জিপিএস, ইন্টারনেট সংযোগ ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহাণুটির গতি ও কক্ষপথ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নাসার গবেষক মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, বর্তমানে গ্রহাণুটি সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। তিনি বলেন, যদি নিউমির ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই কার্যকর থাকতো, তাহলে এই গ্রহাণুটি আরও আগেই শনাক্ত করা সম্ভব হতো।

যদিও এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নয়, তবে এটি হতে পারে গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশল পরীক্ষার একটি দুর্লভ সুযোগ এবং মহাকাশে আমাদের টিকে থাকার অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির বাস্তব বার্তা।

সূত্র: নাসা

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT