ইরানের আকাশে চীনা কার্গো বিমানের রহস্যময় আনাগোনা নিয়ে তুমুল উদ্বেগ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
২০ জুলাই বিইউপিতে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান মসজিদ উদ্বোধনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খতিবের মর্মান্তিক মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা ভারী বর্ষণে মৃত ৪, নিখোঁজ ২, হাজারো মানুষ গৃহহীন ইসরায়েল ‘সমস্ত বন্দিমুক্তির প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করেছে, দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতির ঘোষণা হামাসের মিঠুনের পা ছোঁয়া, মোদির জড়ানো—দুর্গাপুরে এক অভিনব নাট্যচিত্র ঢাকা শহরের বুকে ‘চাপাতি হাতে ছিনতাই’, নীরব ছিল জনতা ও পুলিশ সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের মহাসমাবেশে লাখো জনতার ঢল, শৃঙ্খলা-পরিকল্পনায় নজিরবিহীন উদাহরণ ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ‘টর্চ লাইট’ মিছিল, তদন্তের দাবিতে স্লোগানে মুখর ক্যাম্পাস শেকৃবিতে ‘জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল জাবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তুর্য, সম্পাদক নোমান

ইরানের আকাশে চীনা কার্গো বিমানের রহস্যময় আনাগোনা নিয়ে তুমুল উদ্বেগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ৯৯ বার দেখা হয়েছে

সম্প্রতি ইরানের আকাশপথে একের পর এক চীনা কার্গো বিমান হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। এসব বিমানের ট্রান্সপন্ডার আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থান আর রাডারে ধরা পড়ছে না। সাধারণত বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে না। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করা মানে হলো বিমানগুলো নিজেদের গতিপথ গোপন করছে। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে — তবে কি চীন গোপনে ইরানে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে?

গত শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের আকাশ অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। যাত্রীবাহী ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিমান আশপাশের দেশে ফিরে গেলেও, ঠিক সেই সময় এক বিশাল চীনা কার্গো বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে উপগ্রহ চিত্রে। তখন দেখা যায়, গোটা ইরানজুড়ে শুধু এই একটিমাত্র বিমানের অবস্থান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিমানটি চীনের। শুধু একবার নয়, গত ছয় দিনে অন্তত তিনটি চীনা কার্গো বিমান ইরানে নেমেছে। এসব বিমান সাংহাইসহ চীনের বিভিন্ন শহর থেকে কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান হয়ে ইরানের দিকে আসে। সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয়। কাগজপত্র অনুযায়ী বিমানগুলোর গন্তব্য দেখানো হচ্ছিল লুক্সেমবার্গ, কিন্তু ইউরোপের আকাশসীমায় তাদের প্রবেশের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, এই ধরনের কার্গো বিমান মূলত সামরিক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব বিমানে সহজেই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম পরিবহন করা সম্ভব। এতে করে আরও প্রবল হচ্ছে সেই আশঙ্কা যে, চীন হয়তো ইরানকে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।

চীন ও ইরান বর্তমানে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র। তারা দুজনেই পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধী শক্তির অংশ। মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান তার বেশিরভাগ তেল রপ্তানি করে চীনে, সেটাও আবার বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে। সেই অর্থ দিয়েই ইরান সামরিক ও পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য চীন থেকে হাজার হাজার যন্ত্রাংশ আমদানি করছে ইরান। পরমাণু ইস্যুতেও বেইজিং ইরানের পাশে রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইরানের আকাশে চীনা কার্গো বিমানের রহস্যজনক আনাগোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইসরায়েল। তাদের শঙ্কা, যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সামনে রেখে চীন হয়তো ইরানকে সরাসরি যুদ্ধাস্ত্র দিচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT