বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ছাত্রলীগের দমননীতি ও ক্যাম্পাসে সংঘটিত নির্মম ঘটনাবলির দলিল নিয়ে লেখা ‘নির্মমতার আঁতুড়ঘর: প্রসঙ্গ বুটেক্স ছাত্রলীগ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
বইটিতে বুটেক্স ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন দমননীতি, সহিংসতা ও নির্যাতনের প্রমাণ এবং ভুক্তভোগীদের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ‘ইকোস অব জুলাই’ শীর্ষক সেশনে ভুক্তভোগীরা সরাসরি উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের বর্বরতা ও দমন-নিপীড়নের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আব্দুর রব। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, আপ বাংলাদেশের আহবায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবিদ এইচ সিদ্দিকী, বুটেক্সিয়ান সোসাইটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রওশন জামির রনি এবং ইঞ্জিনিয়ার্স রাইটস মুভমেন্টের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এম ওয়ালী উল্লাহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বুটেক্সিয়ান সোসাইটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল জলিল।
অনুষ্ঠানে শরীফ ওসমান হাদি বলেন, “আন্দোলনে তো আপনার ভাই, আমার ভাই আহত-নিহত হয়েছে। সুতরাং তাদের রক্তের ঋণ আমাদেরকেই শোধ করতে হবে। এই সরকার করে দেবে না, অন্য কেউও করবে না।”
আলী আহসান জোনায়েদ বলেন, “আমরা যদি কালেক্টিভলি নীরব থাকি, তবে আবারও ভিক্টিমাইজড হবো। তাই নীরব থাকা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার থাকতে হবে।”
এভাবে বুটেক্সিয়ান সোসাইটির উদ্যোগে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সহিংসতা ও দমননীতির বিরুদ্ধে দলিল হয়ে উঠেছে, যা ভুক্তভোগীদের স্মৃতি ও সাক্ষ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।