থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত BIMSTEC সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তাদের বসার ভঙ্গী নজর কেড়েছে বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের শরীরী ভাষা ছিল আত্মবিশ্বাসী এবং প্রভাব বিস্তারকারী, যেখানে মোদি ছিলেন তুলনামূলকভাবে সংযত ও শোনার ভূমিকায়। ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি দুই হাত ও দুই পা গুটিয়ে শ্রোতার ভঙ্গিতে ড. ইউনুসের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, যেখানে ড. ইউনুস চেয়ারের হাতলে এক হাত রেখে একইসাথে বেশ আয়েশি ও মার্জিত ভঙ্গিতে বসে রয়েছেন।
ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ছবি ইঙ্গিত করে আলোচনায় ইউনুসের প্রভাব বেশি ছিল। ইউনুস তার শরীরী ভাষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, তিনি আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে মোদি তাকে কিছুটা সমীহ করছেন।
বিশ্লেষকদের আলোচনায় উঠে এসেছে মোদিকে দেওয়া ড. ইউনুসের উপহার প্রসঙ্গও। তিনি মোদিকে একটি ছবি উপহার দিয়েছেন যেটিতে মোদি ইউনুসকে সংবর্ধিত করছেন এমনটি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
এছাড়া ইউনুস-মোদি বৈঠক এর শুরুতেই দেখা যায়, ড. ইউনুস কক্ষে প্রবেশ করার আগেই মোদি আগে থেকে বসে অপেক্ষা করছিলেন। ড. ইউনুস ভেতরে ঢোকার পর মোদি উঠে দাঁড়িয়ে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নমস্কার করেন। এই মুহূর্তটিও বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ, যা ইঙ্গিত করে পুরো মিটিংয়ে ড. ইউনুস মোদিকে ডমিনেট করেছেন। অপরদিকে এটি ইউনুসের প্রতি মোদির সম্মান ও কূটনৈতিক সৌজন্যবোধেরও বহি:প্রকাশও বটে, যা অনেকের মতে বাংলাদেশকে আদায় করে নিতে হয়েছে, কেননা পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের সময় মোদিকে কখনোই এত বিনয়ী ভঙ্গিতে দেখা যায়নি।
এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সহযোগিতার ওপর জোর দেন। অপরদিকে, ড. ইউনুস ভারতে অবস্থানরত হাসিনার মন্তব্যকে “উসকানিমূলক” আখ্যা দিয়ে মোদির কাছে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে তার সরকার ভারতের কাছে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন।
আমাদের পথ চলায় সঙ্গী হন আপনিও: