বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি, গুজব উড়িয়ে দিলো সরকার - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
নির্বাচন সামনে রেখে পেছালো বিশ্ব ইজতেমা জামায়াত ভোটের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে আগ্রহী, ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তি কঠোর, জরিমানা সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক প্রতিনিধি দল; ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ বহু দেশ ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজায় বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া, সংসদ ভবন এলাকায় জনসমুদ্র খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মানিক মিয়া এভিনিউতে এক ব্যক্তির মৃত্যু খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুললেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী তারেক রহমানকে সহমর্মিতা পাকিস্তানের স্পিকারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার দাফন, লাখো মানুষের উপস্থিতিতে রাজসিক বিদায় ডিআইইউ মডেল ইউনাইটেড নেশন ২০২৫-এ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় সাফল্য

বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি, গুজব উড়িয়ে দিলো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ২১০ বার দেখা হয়েছে
Fake news

সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি’ বাতিল করা হয়েছে। তবে এই খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং।

বুধবার (৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এ এক পোস্টে জানানো হয়, “শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল — এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও সম্মান অটুট রয়েছে।”

পোস্টটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “মুজিবনগর সরকারে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন কিংবা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সময় সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কূটনীতিকরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত। সহযোগী বললে তাঁদের সম্মান কমে যায় না।”

তিনি আরও জানান, ১৯৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা অনুযায়ীই সবকিছু কার্যকর করা হচ্ছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা — এই দুই শ্রেণি চালু করা হয়েছে। তবে উভয় ক্যাটাগরির সম্মান, মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে কারও মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করা কূটনীতিকরাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন।

সংশ্লিষ্ট সকলকে গুজবে কান না দিয়ে সরকারি প্রামাণ্য তথ্যের উপর ভরসা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT