রাশিয়ার সোচিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে (OWAO) বাংলাদেশের সাত সদস্যের দল অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিযোগিতায় তারা অর্জন করেছে ১টি স্বর্ণপদক, ২টি রৌপ্যপদক এবং ১টি ব্রোঞ্জপদক। এছাড়া দল হিসেবে বিশেষ সম্মাননাও তাদের হাতে এসেছে।
দলনেতা মোশারুল আমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই তরুণরা ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করে। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনোমি অ্যাসোসিয়েশন (BAA) এবং জাতীয় অলিম্পিয়াড কমিটির তত্ত্বাবধানে তারা কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল।
অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীরা তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও পর্যবেক্ষণমূলক তিনটি বিভাগের পরীক্ষা দেন। তাত্ত্বিক পরীক্ষায় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ বিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় টেলিস্কোপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে হয়। পর্যবেক্ষণমূলক পরীক্ষায় আকাশপৃষ্ঠের নক্ষত্র, গ্রহ ও অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তু পর্যবেক্ষণ করে বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
পদক | শিক্ষার্থী | স্কুল / কলেজ | মন্তব্য |
---|---|---|---|
স্বর্ণ 🥇 | সাপ্তর্ষী রহমান | হোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল | ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্স |
রৌপ্য 🥈 | মো. রাদিত রায়ান | আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ | ব্যবহারিক পরীক্ষায় উচ্চ স্কোর |
রৌপ্য 🥈 | মো. মোখদুম আমিন ফাহিম | পুলিশ লাইনস সেকেন্ডারি স্কুল, খুলনা | পর্যবেক্ষণমূলক বিভাগে ভালো ফলাফল |
ব্রোঞ্জ 🥉 | শোহিনী সোম্বার কংকা | আইডিয়াল কলেজ | তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অসাধারণ |
সম্মাননা 🎖️ | সায়ন্তন রায় | সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল ও কলেজ | দলীয় অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা |
১৯ সেপ্টেম্বর: ঢাকা থেকে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
২০-২৬ সেপ্টেম্বর: প্রতিযোগিতা; তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও পর্যবেক্ষণমূলক পরীক্ষা।
২৭ সেপ্টেম্বর: বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরস্কার বিতরণ।
বাংলাদেশের এই সাফল্য দেশকে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ বিজ্ঞানের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার ছাড়াও জাতীয় অলিম্পিয়াড কমিটি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এই সাফল্য উদযাপন করছে।
এই পদক জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সমাজে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে। দেশের বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন এবং তরুণদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।