পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।
কিছুক্ষণ পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা সেখানে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। এর আগে শনিবার রাতে তারা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভ শেষে সারাদিন পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে কর্মসূচি চালিয়ে রাতের দিকে যমুনার সামনে অবস্থান নেন।
এদিকে, আহতদের দাবি, তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের হামলায় আহত হন। কিন্তু এখনও তাদের যথাযথ চিকিৎসা বা পুনর্বাসন ব্যবস্থা করা হয়নি।
তাদের মতে, আন্দোলন চলাকালে পুলিশের নির্যাতনের কারণে তাদের জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আর এই ক্ষতির জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিত।
আহতরা এ সময় তাদের স্লোগানে দাবি করেন, যাদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হয়েছে, তাদের যেন দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ সরকার বহন করে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, যার কারণে আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সেন্ট্রাল পুলিশ, সেনা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে না।
স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে এই আন্দোলনের গুরুত্ব স্বীকার করেছে এবং আন্দোলনকারীদের সাথে সমঝোতা করতে উদ্যোগী হয়েছে।
Leave a Reply