বাংলাদেশের ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থী হুয়াওয়ের “Seeds for the Future ২০২৫” প্রোগ্রামের মাধ্যমে চীনে একটি ১০ দিনব্যাপী প্রযুক্তি অভিযানে অংশগ্রহণ শুরু করেছেন। এই সফরের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিট, যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় ইনটেনসিভ প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণের আওতায় থাকবে ৫জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত কাজ।
প্রোগ্রামের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিনিময় কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করবেন, যা তাদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে এবং বৈশ্বিক প্রযুক্তি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করবে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের উদীয়মান আইসিটি নেতৃত্বের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনের প্রধান তানভীর আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে Seeds for the Future প্রোগ্রামটি এবার ১২তম বছর পালিত হচ্ছে। এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এ বছরের বিজয়ীরা এই সুযোগকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের আইসিটি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।”
এই বছরের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদ আতিফ রায়হান (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – বাংলাদেশ), ফারিসা জয়নাহ জামান (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), নাফিম করিম খান (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), মোঃ রেজওয়ান উল্লাহ (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি), তাসনিয়া ইফফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ সাফিউস সিফাত (রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি), নুফসাত ফারুক এবং ওয়াসিফ উদ্দিন (ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি)। তারা ৩,০০০-এর বেশি আবেদনকারীর মধ্যে কঠোর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ এবং একক ও দলগত কার্যক্রমের দক্ষতা মূল্যায়ন।
চীন যাবার পথে এয়ারপোর্টে Seeds for the Future ২০২৫ জয়ী শিক্ষার্থীরা
হুয়াওয়ের Seeds for the Future প্রোগ্রাম ইতিমধ্যেই ১৪১টি দেশে ১৮,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থীর উপকার করেছে। প্রোগ্রামটি শুধু শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি করে না, বরং বৈশ্বিক সহযোগিতা ও উদ্ভাবনমূলক চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করে। এই বছরও নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রাপ্ত সুযোগের মাধ্যমে দেশের আইসিটি খাতে তাদের অবদান বাড়াতে সক্ষম হবেন, যা বাংলাদেশের প্রযুক্তি অগ্রগতির পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এই সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করছেন না, বরং আন্তর্জাতিক মানের নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ এবং বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তাদের ধারণা এবং সমাধান উদ্ভাবনের দক্ষতাকে আরও উন্নত করবে, যা বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি, ৫জি সংযোগ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারে নতুন অধ্যায় খুলবে।