সারজিস আলম জানালেন - শ্বশুর লুৎফর রহমানের বিচারক নিয়োগ সম্পূর্ণ যোগ্যতা অনুযায়ী - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

সারজিস আলম জানালেন – শ্বশুর লুৎফর রহমানের বিচারক নিয়োগ সম্পূর্ণ যোগ্যতা অনুযায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৫৩ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একসঙ্গে ২৫ জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ৯ জন আইনজীবী এবং ৭ জন আইন কর্মকর্তা। তাদেরই একজন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান, যিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের শ্বশুর।

এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নানা আলোচনা শুরু হয়। ফেসবুকে আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক পোস্টের নিচে সারজিস আলম মন্তব্য করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি লেখেন, তার শ্বশুর ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং ভর্তি পরীক্ষায় ১৯তম স্থান অর্জন করেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে সেরা ফলাফলের ভিত্তিতেই এই সুযোগ পান তিনি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম শেষ করে ১৯৯৮ সালে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

সারজিস জানান, তার শ্বশুর ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং বর্তমানে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ উভয় বিভাগেই আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পারিবারিক সম্পর্কের অনেক আগে থেকেই তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার দাবি, শতাধিক জুনিয়র ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে তার শ্বশুরের অধীনে কাজ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’-এর সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েই অতিরিক্ত বিচারকের মর্যাদা অর্জন করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নাম জড়িয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে সারজিস আক্ষেপ করে বলেন, এখানে তার শ্বশুরের দীর্ঘ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত পরিশ্রমকে একপাশে সরিয়ে তার নাম টেনে আনা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নবনিযুক্ত অতিরিক্ত বিচারকরা শপথ গ্রহণের পর হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। এ নিয়োগের মাধ্যমে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা আরও বেড়ে গেল।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT