নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

সাংবাদিককে হুমকি আওয়ামী লীগ নেত্রীর বোনের: ‘তুই সাংবাদিক তো কী হইছে’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে
সাংবাদিককে হুমকি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তুলে আসছেন স্থানীয়রা। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শ্যালিকা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির বোন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ফাতেমা আক্তারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্বামীর বড় ভাইকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন করেছেন এবং বিদ্যালয়ের টিউশন ফি আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া, উৎকোচ ছাড়া বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা এবং এক নৈশপ্রহরীর বেতন ও পরবর্তী ভাতা প্রদান না করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় দিবসগুলোতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা ফাতেমা আক্তার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে যান। এ সময় দেশ রূপান্তর পত্রিকার সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি মামুনুর রশীদসহ কয়েকজন সাংবাদিক অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে তাদের প্রতি অশালীন আচরণ করেন এবং হুমকি দেন।

সাংবাদিক মামুনুর রশীদ জানান, প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং জুতা দিয়ে মারার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তুই সাংবাদিক এখানে কেন? তোকে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে পেটাবো।’

এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক অভিভাবক বলেন, “একজন শিক্ষকের এমন আচরণ দুঃখজনক। তিনি শুধু শিক্ষকদের সঙ্গেই নয়, অভিভাবকদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন।”

অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং ক্ষুদেবার্তারও কোনো জবাব দেননি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে এমন আচরণ অনভিপ্রেত। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT