আসামে ভূমিকম্প ২০২৫ , ৫.০ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। আসামের মরিগাঁওসহ ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। সিসমিক জোন-ফাইভ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এই কম্পন নিয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বিশেষ বিশ্লেষণ করছে, যা ভূমিকম্পের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার গভীর রাতে ২টা ২৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প ঘটে। সংস্থার তথ্যানুসারে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের মরিগাঁও জেলায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিলোমিটার গভীরে।
এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ভৌগোলিক কারণে আসাম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ভারতের এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটি সিসমিক জোন-ফাইভ এর অন্তর্ভুক্ত, যা ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
৫.০ মাত্রার ভূমিকম্পকে সাধারণত মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা ঘরের জিনিসপত্র কাঁপানো, শব্দ সৃষ্টি করা এবং সামান্য ক্ষতি করতে পারে।
বিগত বছরগুলিতে এই অঞ্চলে বেশ কিছু বড় ভূমিকম্প হয়েছে, যেমন ১৯৫০ সালের অসম-তিব্বত ভূমিকম্প (৮.৬ মাত্রা) এবং ১৮৯৭ সালের শিলং ভূমিকম্প (৮.১ মাত্রা) — যা ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে পড়ে।
এই ভূমিকম্পের কয়েকদিন আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬:১০ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যার কম্পন কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে অনুভূত হয়।