শুক্রবার ব্যাংককে থাইল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এক প্রাতঃরাশ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আসিয়ান (ASEAN)-এ বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য থাই সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ শুরুতে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চাইলেও, অধ্যাপক ইউনূস জানান যে চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্য হওয়া।
“আমাদের ভবিষ্যৎ এখানেই নিহিত,” — ব্যাংককের একটি হোটেলে আয়োজিত প্রাতঃরাশ বৈঠকে থাই সম্মানিতদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে এবং এটি গর্বিতভাবে সার্ক ও বিমসটেক-এর সদস্য। আঞ্চলিক এই সংস্থাগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির দিকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিসিত ভেজাজিভাসহ সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো আসিয়ানের প্রভাবশালী দেশের সমর্থন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
“এটাই হবে সেই সম্পর্কের সূচনা, যা আমরা গড়ে তুলতে চাই,”— বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতা প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, এই ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’কেও মানবজাতির কল্যাণে কাজে লাগানো যেতে পারে।
“বিশৃঙ্খলা অনেক কিছু নাড়িয়ে দিতে পারে,”— বলেন তিনি।
“আমাদের আরও গভীর সহযোগিতা দরকার। আমরা কি একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেল ভাবতে পারি?”— এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তন এবং শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন ইউনূস, যা এক দমনমূলক স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।