২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নের উদ্দীপকে উঠে এসেছে সমাজসেবামূলক সংস্থা ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’-এর নাম। জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার, বক্তা ও সমাজসেবী শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত এই সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোটি কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও নানান কর্মসংস্থানমুখী কাজের জন্য ইতোমধ্যেই মানুষের নিকট যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের দুই লাইনের সেই উদ্দীপকটি এরকম: ২০২৪- এর প্রলয়ংকরী বন্যায় লাকসাম এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ থেকে ত্রাণ সামগ্রী আসে। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব উপস্থিত থেকে সকল মানুষের মধ্যে এগুলো সমানভাবে বিতরণ করেন।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে একটি উচ্ছ্বসিত পোস্ট দেখা গেছে, যেখানে লেখা হয়েছে, এবারের ঢাকা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন-বিষয়ক প্রশ্ন এসেছে। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য এক তৃপ্তিদায়ক অর্জন। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ, দেশবাসীর আস্থা, ভালোবাসা ও সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই আনন্দঘন মুহূর্তে ফাউন্ডেশনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমরা আরো একবার কৃতজ্ঞতা জানাই।
সেই পোস্টের কমেন্টবক্সে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অগণিত অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীরা উচ্ছ্বসিত অভিবাদন জ্ঞাপন করেছেন। মোহাম্মদ সোহেল রহমান নামক একজন নেটিজেন লিখেছেন, আমি এই প্রশ্ন দেখে খুশি হয়েছিলাম আর সাথে সাথে উত্তর পত্রে লিখেছিলাম Alhamdulillah।
আরও পড়ুনঃ
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ:এনসিপি সদস্য বহিষ্কৃত
বকশীগঞ্জ ইউএনওসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা
বাপ্পী দেওয়ান লিখেছেন, আপনারা তো বাংলার মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে গেঁথে আছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ। আপনার নেক হায়াত কামনা করছি।
এই ঘটনাকে বিশিষ্টজনরা দেখছেন ইসলামী সংগঠনগুলোর সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতির একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে। কেউ কেউ মনে করছেন, অধিকাংশ জনগোষ্ঠী মুসলিম ও ধর্মপ্রাণ হওয়া সত্ত্বেও এদেশে স্বৈরাচারী হাসিনার শাসনামলে ভারতপন্থী সেকুলার-বাম ঘরানার লোকদের যে সামাজিক আধিপত্য কায়েম হয়েছিল তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, সমাজসেবায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যথেষ্ট অবদান রাখলেও দেশের মূলধারার মিডিয়াগুলোতে এতদিন উপেক্ষিতই থেকেছে; এর পরিবর্তে কাভারেজ পেয়েছে বামপন্থী ও সেকুলারদের স্বল্প টাকায় একবেলা আহারের ব্যবস্থা করা একটি বিতর্কিত সেবামূলক সংস্থা। এ নিয়ে ইসলামপন্থী জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
এবছর একুশে পদক দেওয়ার সময়ও শায়খ আহমাদুল্লাহকে সমাজসেবায় একুশে পদক দেওয়ার দাবিও তুলেছিলেন তাঁর অনুরাগীরা।
জুলাই বিপ্লবের পর বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ধর্মীয় মূল্যবোধ লালনের কারণে কাউকে যেন উপেক্ষিত হতে না হয় সেই বিষয়ে কিছুটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নাম আসার পর তাদের এই ধারণা আরো জোরদার হয়েছে।
আমাদের পথ চলায় সঙ্গী হন আপনিও: