রমজানের সেহরির সময় গাজার ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের ‘সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলো’ লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হামাসের উচ্চপদস্থ নেতা মাহমুদ আবু ওয়াফাহও রয়েছেন।
গত ১৯ জানুয়ারির পর গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় ২০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান গাজার আকাশে ওড়ে এবং গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসে একাধিক স্থানে বোমা বর্ষণ করে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই এ হামলার অনুমোদন দেন। তাদের দাবি, হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি ও প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যানের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
হামাস এ হামলাকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে, ইসরায়েল চুক্তিভঙ্গ করেছে, যা বন্দি ইসরায়েলি সেনাদের জন্য আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এর আগে, মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে এই হামলার পরামর্শ দেয় এবং প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে প্রস্তুত ছিল বলে জানা গেছে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। প্রায় ২১ লাখ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, শহরের ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, আর খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। (তথ্যসূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা)