
মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আবদুস সালাম। সকাল থেকেই সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিলের কার্যক্রম শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শেষ হয়।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমরা সুন্দরভাবে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমাদের নেতাকে প্রবাসে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ আল্লাহর রহমতে এবং জনগণের দোয়ায় তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমরা একটি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করেছি। তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন নগরবাসী যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বরণ করে নিয়েছেন, সে জন্য আমরা নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।”
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনের ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারেক রহমানের পক্ষে ভোট দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আবদুস সালাম বলেন, “দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একটি ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। নতুন প্রজন্ম গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করি নতুন প্রজন্মের সব ভোট ধানের শীষের পক্ষে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্র ভেদ করে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই দেশের সব জনগণের পক্ষে কথা বলবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমিনুল হক, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৮ আসনের মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা-কর্মী।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ঢাকা-১৭ আসনকে ঘিরে দলটির প্রস্তুতি বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। দেশে ফেরার পর গত শনিবার তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার হন। এরপর থেকেই দলের সিনিয়র নেতারা তাকে এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।
গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এর আগে এই আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা গেলেও তারেক রহমান প্রার্থী হওয়ায় তিনি আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বগুড়া-৬ আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া-৭, ফেনী-১ ও দিনাজপুর-৩—এই তিনটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।