
দীর্ঘ ১৮ বছর পর মাতৃভূমিতে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্য সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডন ত্যাগ করবেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। তার প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূর্বাচল এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারেক রহমানকে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত বিএনপি। দলটির নেতাদের দাবি, এ সংবর্ধনায় ঢাকায় ৫০ লাখের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি হতে পারে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পূর্বাচলের নির্ধারিত সংবর্ধনাস্থলে যাবেন তিনি।
বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তাতে অতীতের সব রাজনৈতিক আয়োজন ছাড়িয়ে যাবে এই গণসংবর্ধনা। এতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও অংশ নেবেন বলে আশা করছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তারেক রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। পুরো আয়োজন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে কাজ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলের ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দফায় দফায় দলটির শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করছেন।
উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। এর মধ্যে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে ফিরলেও তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি।