সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট, ১০ কাঠা জমি এবং ১৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বীর ফয়েজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার নামে খোলা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন হয়েছে। এসব লেনদেনে জমা ও উত্তোলন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
আদালত নির্দেশনায় উল্লেখ করেন, নূরের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে এগুলো হস্তান্তর বা স্থানান্তরের ঝুঁকি এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ফ্ল্যাটসমূহ
রমনায় দুটি ফ্ল্যাট: একটি ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং আরেকটি ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের।
গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের অংশবিশেষ: প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
মগবাজারে একটি ফ্ল্যাটের অংশবিশেষ: প্রায় ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ টাকা।
জমি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, মূল্য প্রায় ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮০ টাকা।
ব্যাংক হিসাব
১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট প্রায় ১৩ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০ টাকা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এই সম্পদ নূর বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনের অধীনে তদন্তের স্বার্থে সম্পদ জব্দের আবেদন করা হয়।
বর্তমানে আসাদুজ্জামান নূর কারাগারে রয়েছেন। আদালতের এ আদেশের ফলে তদন্তকাজ আরো জোরদার হবে বলে আশা করছে দুদক।