জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে: মিলল গোপন প্রমাণ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
অ্যাড মেকার বাংলাদেশ ২০২৫: চ্যাম্পিয়ন বিইউপির টিম জিনক্সড ঢাবিতে প্রথম ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ চালু দেশজুড়ে সাইবার সতর্কতা! আসছে ‘ম্যাস কেজুয়ালটি’ স্টাইল হামলা গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জামায়াতের যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামল রাজবাড়ীতে ৩১ শিক্ষার্থী পেল এসইডিপি সম্মাননা ঢাবির জহুরুল হক হলে জুতা রাখার র‍্যাক বিতরণ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদের ঢালাই ভেঙে আহত ১২ শ্রমিক, সাটারিংয়ে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ অদম্য ২৪ উদ্বোধনে ‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগে ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে: মিলল গোপন প্রমাণ

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

দেশের বিশিষ্ট গবেষক ও সমকামিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার অ্যাক্টিভিস্ট ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এলজি এজেন্ডা নিয়ে কাজ করবে। ২৯ জুলাই এ মিটিং হয়েছে। প্রমাণ দেখুন কমেন্টে।” তার পোস্টের কমেন্টে দেখা গেল একটি ইংরেজিতে লেখা জবাব যা সাবাস বাংলাদেশ এর পাঠকদের জন্য এখানে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। উক্ত কমেন্টে তিনি আরও জানিয়েছেন, জাতিসংঘে কর্মরত একজন বাংলাদেশি গোপনে তাদেরকে জানিয়েছেন, গত ২৯ জুলাই দুপুরে ঢাকায় জাতিসংঘের একটি টাউন হল মিটিং হয়েছে, যেখানে মানবাধিকার কমিশন অফিস বাংলাদেশে আসলে কি করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমের মিশ্রণে এটি ছিল একটি হাইব্রিড মিটিং যেখানে প্রায় ৬০০ জন অংশ নেন। সকাল ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই মিটিংয়ে প্রশ্নোত্তরকালে ১২.০৬ ঘটিকায় একজনের প্রশ্নের জবাবে অফিস অফ দ্য ইউনাইটেড নেশনস রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ফর বাংলাদেশ (RCO) এর প্রধান লুইস বারবার ইংরেজিতে যে উত্তর দেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায়:

আমি আবার ফিরে আসছি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে—বাংলাদেশে নতুন করে স্থাপিত মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিস (OHCHR) নিয়ে কিছু প্রশ্ন এসেছিল।

প্রথমেই বলি, হ্যাঁ—এই অফিসটি বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে গঠিত হয়েছে, একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারকের (MoU) আওতায়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো—গত বছরের মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য-অনুসন্ধান রিপোর্টে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সার্বিকভাবে মানবাধিকার মান উন্নয়নে আগ্রহী, আর জাতিসংঘ এই প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত।

এই প্রসঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন এসেছে—ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা এলজিবিটিকিউআই+ সম্প্রদায়ের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘ কী করছে?

এর সরাসরি উত্তর হলো: এ কারণেই তো OHCHR এখানে এসেছে। তাদের কাজই হলো সরকারকে এমন একটি ন্যায্য, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সহায়তা করা—যা আমাদের কর্মস্থলকেও অন্তর্ভুক্ত করে।

যদি কোনো কর্মী নিজেকে অনিরাপদ, হুমকির মুখে কিংবা উপেক্ষিত মনে করেন—ধর্ম, লিঙ্গ পরিচয়, বা যেকোনো ব্যক্তিগত পরিচয়ের কারণে—তবে দয়া করে চুপ থাকবেন না। আপনার প্রতিষ্ঠানেই যোগাযোগ করুন, সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন না।

আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি: জাতিসংঘ বৈচিত্র্যকে সম্মান করে। কাউকে কোনো অবমাননাকর মন্তব্য বা বৈষম্যমূলক আচরণ সহ্য করতে হবে না—একেবারেই না।

তবে এটাও স্বীকার করি, জাতিসংঘ ভবনের বাইরে বাস্তবতা আরও জটিল হতে পারে। তাই যদি বাইরের পরিবেশে আপনি নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে মনে করেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যা প্রয়োজন তা করুন—এবং প্রয়োজনে আপনার সংস্থাকে জানিয়ে সহায়তা নিন।

এই কারণেই আমরা বাংলাদেশে OHCHR অফিসের প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানাই। এটি স্বচ্ছতা, সমতা, মর্যাদা এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ—যা বাংলাদেশ সরকারকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বিরোধিতা জারি রেখেছে ধর্ম, ঐতিহ্য ও কৃষ্টিসচেতন বাঙালি সমাজ। বলা যেতে পারে, সকল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে ইউনুস সরকার।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT