সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদের ঢালাই ভেঙে আহত ১২ শ্রমিক, সাটারিংয়ে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ রাজধানী দখলের গোপন পরিকল্পনায় গেরিলা প্রশিক্ষণ, আওয়ামী নেতাকর্মী গ্রেফতার গাজায় ত্রাণ নেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেল ৭১ জনের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে: মিলল গোপন প্রমাণ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ – ভূরাজনৈতিক শঙ্কা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যুগপৎ জাগরণ রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্মম নির্যাতনের তথ্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং-২০২৫’ পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে

সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

৩০ জুলাই ২০২৫

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন কীভাবে সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, তা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নিজেই তুলে ধরেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ট্রাইব্যুনালে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জবানবন্দিতে মামুন জানান, ১৯ জুলাই থেকে প্রতিদিন রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসভবনে বৈঠক হতো। এতে উপস্থিত থাকতেন স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা—দুই সচিব, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, র‌্যাব ও আনসারের ডিজি, এনটিএমসির জিয়াউল আহসানসহ অনেকে। সেখান থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, সরকারের কোর কমিটির এক বৈঠকে আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী ছয়জনকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়, সেখানে মানসিক চাপ ও নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়।

জবানবন্দিতে মামুন আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে ‘জিন’ বলে ডাকতেন। কারণ, রাজনৈতিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ ছিলেন।

সরকার পতনের দিনে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কীভাবে সেনানিবাসে যাওয়া হয়, সেটিও উল্লেখ করেন মামুন। বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে একটি হেলিকপ্টার পুলিশ সদরদপ্তরে আসে। সেটিতে তিনি তেজগাঁও বিমানবন্দরে যান, সেখান থেকে সরাসরি সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের সামনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের আগ্রহ জানান এবং রাজসাক্ষী হতে চান। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে এবং কারাগারে তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা কক্ষে রাখার নির্দেশ দেয়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT