সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় তথাকথিত ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করেনি। মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল সিনেটরদের জানিয়েছেন যে, ইসফাহান সাইটটি মাটির এতটাই গভীরে অবস্থিত যে, এই ধরনের বোমা সেখানে অকার্যকর হতে পারতো।
এটি প্রথমবার প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করা হলো কেন ইসফাহানের বিরুদ্ধে ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি) বোমা ব্যবহার করা হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, ইসফাহান ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করে। যদিও ফোরদো এবং নাতানজ-এর মতো অন্যান্য ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বাঙ্কার-বাস্টার বোমা আঘাত হেনেছিল, ইসফাহানে শুধুমাত্র মার্কিন সাবমেরিন থেকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এই গোপন ব্রিফিংয়ে মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান, প্রতিরক্ষা সচিব, পররাষ্ট্র সচিব এবং সিআইএ-এর পরিচালক সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ের পর একজন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর উল্লেখ করেছেন যে, ইরানের কিছু পারমাণবিক সক্ষমতা মাটির এতটাই গভীরে অবস্থিত যে, তা আমেরিকান বোমা হামলার ক্ষমতার বাইরে।
এই তথ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিকল্পগুলো সীমাবদ্ধ হতে পারে, যা ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। এদিকে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল মনেপ্রাণে চাচ্ছিলো ইরানে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়ে বর্তমান ইরান প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতায় ইসরাইল বেশ হতাশ হবে, সেটা সহজেই অনুমেয়।