ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, হামলার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয়তার কোনো বাড়তি মাত্রা পরিলক্ষিত হয়নি।
আইএইএ শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, নাতাঞ্জ, ফরডো এবং ইস্ফাহান অঞ্চলে আঘাত হানার পরপরই সংস্থাটি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কোনো ‘অফ-সাইট তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি’ শনাক্ত হয়নি।
তাদের ভাষায়, “পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির অভ্যন্তরে সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে জনসাধারণের জন্য তা কোনো হুমকি তৈরি করেনি।” সংস্থাটি আরও জানায়, তারা এসব স্থাপনার কার্যক্রম, পারমাণবিক উপাদান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ছবি: ম্যাক্সার টেকনোলজিস, এপি
ফরডো সাইটটি পাহাড়ের নিচে নির্মিত হওয়ায় তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত ছিল। নাতাঞ্জ সাইটে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড ব্যবহারের কারণে কিছু অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক ঝুঁকি দেখা দিলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইস্ফাহানে গবেষণামূলক কার্যক্রমে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার কোনো চিহ্ন নেই বলে জানায় সংস্থাটি।
আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।”
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে আনতেই তারা এই হামলা চালায়। অন্যদিকে, ইরান বলেছে, এই হামলা ছিল তাদের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ।
তবে আইএইএর রিপোর্টে স্বস্তির বার্তাই মিলেছে, অন্তত তেজস্ক্রিয়তার দিক থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো জনস্বাস্থ্যের হুমকি দেখা দেয়নি।