ইরানের ভূখণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক আগ্রাসী বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মার্কিন যুদ্ধবিমানের এই শক্তিশালী হামলায় ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ (রোববার) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হামাস এই হামলাকে ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর একটি “নির্লজ্জ আগ্রাসন” এবং “আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইনকুইরার এক প্রতিবেদনে হামাসের এই বিবৃতিটি নিশ্চিত করেছে। এই বিবৃতির মাধ্যমে হামাস ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি তাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে।
হামাসের এই প্রতিক্রিয়া অপ্রত্যাশিত নয়। ইরান দীর্ঘদিন ধরে হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান আর্থিক ও সামরিক সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তেহরান এই গোষ্ঠীগুলোকে তথাকথিত “প্রতিরোধের অক্ষশক্তি”-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে, যা এই অঞ্চলে মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রভাবের বিরুদ্ধে সক্রিয়।
ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, আঞ্চলিক রাজনীতিতে তার ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন স্বার্থের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও তেহরানের সম্পর্ক দশকের পর দশক ধরে তিক্ত হয়ে আছে।
হামাসের এই বিবৃতি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে। এটি স্পষ্ট করে যে, এই অঞ্চলের যেকোনো সংঘাত কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এর মিত্র এবং প্রতিপক্ষরাও এতে জড়িয়ে পড়বে, যা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।