ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের ওয়াশিংটনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককে ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হলেও, পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, ইরান নিয়ে তাদের অবস্থান আগের মতোই অটল রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইরান নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ‘১০০% একই আছে’। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়লেও পাকিস্তান এখনও ইরানের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। ইরানের পাশে আছে – এমন দেশের সংখ্যা খুবই কম।
ট্রাম্প-মুনির বৈঠক ঘিরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকরা এই বৈঠকের সময় ও চেহারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি, অনেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসব গুজবে কোনো ভিত্তি নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকাত আলী খান ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘অন্যায় ও অবৈধ হামলা’ বলে আখ্যা দেন। তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
শফকাত আলী খান আরও বলেন, পাকিস্তান ‘ইরানের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করে।’ তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েলের এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পুরো অঞ্চলের শান্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
আন্তর্জাতিক চাপ ও দেশের ভেতরের নানা বিতর্কের মধ্যেও পাকিস্তান আবারও তাদের পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দেশটি জানিয়েছে, ইরানের পাশে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের যে কোনো আগ্রাসনের বিরোধিতা করবে।