অবশেষে মুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী ছাত্রনেতা মাহমুদ খালিল - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
টানা দুই ইনিংসে শান্তর রেকর্ড সেঞ্চুরি, টেস্টে শ্রীলংকার কষ্টার্জিত ড্র ভারতে গাযার জন্য অনুদান সংগ্রহে মুসলিম যুবককে পুলিশের হয়রানি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ডিএমপির পাথরঘাটায় ৪০ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ, বিতরণ করা হলো এতিম ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রোগ্রামিং হিরো’র সাফল্যের উৎসব: “প্রোগ্রামিং হিরো গ্রাজুয়েশন সেরেমনি ১.০ ” মাতালো ঢাকা! আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা ট্রাম্প-মুনির বৈঠকের পরও ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা পাকিস্তানের নতুন বাজারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ইসরায়েলকে জাতিসংঘে তুলোধুনো করলো পাকিস্তান-চীন-রাশিয়া-আলজেরিয়া গাজায় নির্মম ইসরায়েলি গণহত্যা চলমান: শুক্রবারেই শহীদ ৮২ জন

অবশেষে মুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী ছাত্রনেতা মাহমুদ খালিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে
মাহমুদ খালিল

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং দেশজুড়ে প্যালেস্টাইনপন্থী ক্যাম্পাস আন্দোলনের অন্যতম মুখ মাহমুদ খালিল শুক্রবার ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

মাহমুদ খালিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা, এক মার্কিন নাগরিকের স্বামী এবং এক মার্কিন-জন্ম ছেলে সন্তানের বাবা। গত মার্চ মাস থেকে তাকে আটক রাখা হয়েছিল এবং তার দেশে ফেরত পাঠানোর (ডিপোর্টেশন) সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

মুক্তির পর লুইজিয়ানার একটি ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় তিন মাস সময় নেওয়া উচিৎ ছিল না। ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ভুল ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছে। আসলে কারোই শুধু গণহত্যার প্রতিবাদের জন্য আটক হওয়া উচিৎ নয়।’’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এই রায়ের কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, ‘‘এটি আদালতের কিছু সদস্যের নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থার প্রমাণ, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে।’’

মাহমুদের মুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে পারবেন না, শুধুমাত্র ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’ ছাড়া। এমনকি দেশের ভেতরেও তার যাতায়াতের ওপর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকছে।

মাহমুদের স্ত্রী, মিশিগান-জন্ম ডেন্টিস্ট নূর আবদাল্লাহ বলেন, ‘‘আমাদের পরিবার অবশেষে একটু স্বস্তি নিতে পারছে। মাহমুদ এখন বাড়ি ফিরছে। তবে এই রায় ট্রাম্প প্রশাসন যে অন্যায় আমাদের ও আরও অনেক পরিবারকে করেছে, তার সামান্য প্রতিকারও নয়।’’ উল্লেখ্য, মাহমুদের আটক থাকার সময় তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়।

গত ৮ মার্চ ইমিগ্রেশন এজেন্টরা মাহমুদ খালিলকে গ্রেফতার করে। এরপর নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। তখন তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন এবং গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন ক্যাম্পাস আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ১৯৫০-এর দশকের একটি পুরনো আইন ব্যবহার করে বিদেশিদের মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির জন্য হুমকি দেখিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালায়। এমনকি মার্কো রুবিও নামে এক সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিদেশিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় দাবি করেন।

এই সময় শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়, অনেকে মতামত প্রকাশ বা সাধারণ গ্রেফতারের ঘটনাতেও লক্ষ্যবস্তু হন। তবে এক বিচারক মাহমুদের আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে বলেন, শুধু রুবিওর অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি দাবি করে তাকে আটক বা ফেরত পাঠানো যাবে না।

মাহমুদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল তার স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদনে কিছু তথ্য ভুল ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘‘মাহমুদের মুক্তির আদেশ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ শুধুমাত্র প্যালেস্টাইনের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য তার ওপর সরকারি নির্যাতন চলছে।’’

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT