মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নামে গণহত্যা! শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ – গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কোটায় ভর্তি প্রসঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শর্ত আরোপ রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গরুবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে দুই ব্যবসায়ী নিহত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আগামীকাল রোববার বিসিবির নতুন সভাপতি – আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঈদ-পরবর্তী ঢাকামুখী যাত্রীদের জন্য শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি এক মাসের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’ উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়লো কুয়াকাটার ‘মেরিন ড্রাইভ’ জাপান থেকে বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংস্কারের চুক্তি ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বন্ধ ছিল বিমান চলাচল

মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯২ বার দেখা হয়েছে
মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার
কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়ে প্রাণে বাঁচলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিষ ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবার। শৈশবে মুসলিম পাড়ায় বড় হওয়ায় মুখে ‘কালেমা’ উচ্চারণ করতে পারতেন—এটাই শেষমেশ তাঁদের রক্ষা করে।

শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিষ স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত বৈসারনে। গত মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছানোর মাত্র ২০ মিনিট পরই শুরু হয় সন্ত্রাসী হামলা। তাঁদের চোখের সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয় দু’জন পর্যটককে। আতঙ্কে পরিবারের সবাই একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন।

স্মৃতি রোমন্থন করে দেবাশিষ জানান, সন্ত্রাসীরা তাঁদেরও হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করে। একজন ব্যক্তি আদেশ অমান্য করায় তাঁকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়। “তার রক্ত আমার গায়ে এসে পড়ে। তখন দেখি আশেপাশের লোকজন কালেমা পড়ছে। আমিও সঙ্গে সঙ্গে কালেমা পড়া শুরু করি,” বলেন অধ্যাপক।

এক সন্ত্রাসী তখন তাঁকে প্রশ্ন করে, “কিয়া বোল রাহে হো?” অর্থাৎ, ‘তুমি কী বলছ?’ দেবাশিষ জানান, “তারা আমাকে কিছু বলেনি, কিন্তু আমি জানতাম কালেমা কীভাবে পড়তে হয়। এই আয়াতগুলোই আমাদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।”

হামলা থেমে গেলে দেবাশিষ ও তাঁর পরিবার পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যান এবং প্রায় দুই ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সহায়তায় নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। পরে তাঁরা গাড়ি করে শ্রীনগরে ফিরে যান।

এই ঘটনার পর আসাম সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরিবারটি দিল্লি ও কলকাতা হয়ে শিলচরে ফিরবেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, এই হামলার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নির্ধারিত আসাম সফর স্থগিত করা হয়েছে।

দেবাশিষ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ডাল লেকে একদিন চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। কিন্তু এই হামলা আমাদের ভ্রমণের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। এটা ছিল দুঃসহ ও হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা।”

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT