ভবন ভাঙার সঠিক পদ্ধতি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে সাপে কেটেছিল এক সাপুড়েকে, সেই সাপই কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে শেরপুরে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল

ভবন ভাঙার সঠিক পদ্ধতি

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৩ বার দেখা হয়েছে
proper-method-of-building-wreking
ভবন ভাঙার প্রতীকি চিত্র
একটি ভবন ভাঙা সুপরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ। ভবনের কাঠামো, আশপাশের অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সর্বোচ্চ কম সময়েত মধ্যে ভবন ভাঙার জন্য স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভবন ভাঙতে হয়।
🔨 ভবন ভাঙার পূর্ববর্তী কাজ:
যে কোনো ভবন ভাঙার পূর্বে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো দেয়া হলো:
📌 ১. স্ট্রাকচারাল অডিট:
🔹 ভবনের বর্তমান অবস্থা, ব্যবহারযোগ্য উপকরণ এবং দুর্বল স্থান চিহ্নিত করতে হবে।
🔹ফাউন্ডেশন, কলাম, বিম এবং স্ল্যাবের ওজন ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে।
🔹ভবনের কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অনুযায়ী ডেমোলিশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত।
📌 ২. ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস:
🔹ভবনের আশপাশের স্থাপনা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সিউইজ লাইন চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
🔹আশপাশে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া থাকলে কম্পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
🔹পাবলিক সেফটি নিশ্চিত করতে সাইট ব্যারিকেডিং এবং ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা উচিত।
🔧 ভবন ভাঙার পদ্ধতি (Demolition Methods)
ভবনের উচ্চতা, কাঠামো এবং আশপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কয়েকটি পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা যেতে পারে
1️⃣ টপ-ডাউন ডেমোলিশন:
🔹 কম্প্যাক্ট এলাকায় (শহরের ভেতরে) এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
🔹ভবনের উপরের দিক থেকে ধাপে ধাপে ভাঙা হয়, এক্সকাভেটর বা রিমোট কন্ট্রোলড মেশিন ব্যবহার করে।
🔹কলাম এবং স্ল্যাব ধীরে ধীরে অপসারণ করা হয়।
2️⃣ মেকানিক্যাল ডেমোলিশন:
🔹ভারী যন্ত্রপাতি যেমন বুলডোজার, এক্সকাভেটর, হাইড্রোলিক ব্রেকার, এবং ড্রাম কাটার ব্যবহৃত হয়।
🔹মাঝারি ও উচ্চ-উচ্চতার ভবনের ক্ষেত্রে কার্যকর।
🔹আশপাশের স্থাপনায় কম্পন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
3️⃣ বিস্ফোরক ডেমোলিশন:
🔹বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবন ধ্বংস করা হয়।
🔹বহুতল ভবন বা নিয়ন্ত্রিত জায়গায় দ্রুত ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়।
🔹বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় স্ট্রাকচারাল দুর্বল পয়েন্টে।
💥 এটি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতি, যা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব নয়।
⚠️ নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
ভবন ভাঙার সময় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।
📌 ১. শ্রমিক ও সাইট সেফটি:
• শ্রমিকদের হেলমেট, গ্লাভস, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট, এবং বুট পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
• বিস্ফোরক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাকআপ জোন তৈরি করা হয়।
📌 ২. পাবলিক ও আশপাশের সুরক্ষা:
• ডাস্ট কন্ট্রোলের জন্য ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
• ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেফটি নেট এবং ব্যারিকেডিং করতে হবে।
• বিস্ফোরক ব্যবহারের সময় সাউন্ড এবং ভাইব্রেশন ড্যাম্পিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে।
💡 সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যা করণীয়:
▪️ অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে।
▪️ নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK) এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
▪️আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধুলাবালি এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
#Design Integrity BD এর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT