স্বাধীনতা বিরোধী'র নামে ইবি'র হল নামকরণে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী ভারত ছাড়তে তড়িঘড়ি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল

স্বাধীনতা বিরোধী’র নামে ইবি’র হল নামকরণে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মিজানুর রহমান (ইবি প্রতিনিধি)
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪০ বার দেখা হয়েছে
ইবি হল নামকরণ,কুষ্টিয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শাহ আজিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, ছাত্র প্রতিবাদ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যুদ্ধকালীন, পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগ, ভাষা আন্দোলন, মাওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, শহীদ আবরার ফাহাদ, অধ্যাপক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়ন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা একাডেমিক ভবন ও বিভিন্ন হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানের নামে নামকরণে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলসহ মোট ৫ টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬৭ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একাত্তরে শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আবদুল মোতালেব মালিকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য হন এবং রাজস্ব মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক জাতিসংঘে প্রেরিত প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি জাতিসংঘে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। এছাড়াও তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিলেন।
সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিতর্কিত কোন ব্যক্তির নামে হলের নাম হওয়াটা নিন্দনীয়, তাই সেটির পরিবর্তন কামনা করছি। শাহ আজিজুর রহমানের নামের পরিবর্তে মাওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, শহীদ আবরার ফাহাদ বা অন্যান্য আরো অনেক নাম, সেগুলো দেওয়া উচিত ছিল। কেউ কেউ ইবির স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ নামে হল নামকরণের প্রস্তাব করেছেন।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসনের উচিত ছিল নিরপেক্ষ এবং সর্বজন স্বীকৃত কারো নামে হলের নামকরণ করা। ইবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো বরাবরই বিতর্কিত।
এদিকে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ। বুধবার (৫ মার্চ) এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক এই নিন্দা জানান। একইসাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মাওলানা ভাসানীর নামে নামকরণের আহ্বান জানান।
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT