নোটিশ:

২০২৪ জলবায়ু পরিবর্তনের রেকর্ডের বছর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৭ বার দেখা হয়েছে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা, গ্লোবাল বয়লিং, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা, তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা, স্টর্ম বেটিনা, চিলি দাবানল, উত্তর আফ্রিকার তাপপ্রবাহ, ভারতে তাপপ্রবাহ, হ্যারিকেন বেরিল, বরফ গলন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মানবিক বিপর্যয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু সংকট, আর্কটিক, অ্যান্টার্কটিক, কৃষি ক্ষতি, তাপপ্রবাহ রোগ, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা টানা ১৬ মাস ধরে রেকর্ড ভেঙেছে, এবং তা বেশ বড় ব্যবধানে। ছবি: রয়টার্স

২০২৪ সাল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা জলবায়ু পরিবর্তনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে এসে এটি নিশ্চিত যে, এই বছরটি ২০২৩ সালের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রার এই অবিরাম বৃদ্ধি জলবায়ু সংকটের ক্রমবর্ধমান তীব্রতার প্রতীক এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরছে।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে মানবজাতি এখনও ভুল পথে চলছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গত গ্যাসের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিনটি দিন ঘটে গেছে জুলাই মাসে। অক্সফোর্ড অ্যাকাডেমিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এটিকে “বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা” হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং সতর্ক করেছে যে পৃথিবী “অপ্রতিরোধ্য জলবায়ু বিপর্যয়ের” কাছাকাছি চলে এসেছে।

আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়লেও সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন এখনো সম্ভব হয়নি। তুরস্কের জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের পরিচালক হালিল হাসার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা স্থির থাকতে বা লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে থাকতে পারি না।”

‘গ্লোবাল বয়লিং’ বা বৈশ্বিক তপ্ত অবস্থা

২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা টানা ১৬ মাস ধরে রেকর্ড ভেঙেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “গ্লোবাল বয়লিংয়ের যুগ এসে গেছে।” তাপপ্রবাহ, বন্যা এবং খরার মতো বিপর্যয়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও প্রকট হচ্ছে।

অভূতপূর্ব জলবায়ু বিপর্যয়

২০২৪ সাল জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে শুরু করে বন্যা ও ধ্বংসাত্মক ঝড়ের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনা বেড়েছে।

  • স্টর্ম বেটিনা (নভেম্বর ২০২৩): কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাত, ২৩ জনের মৃত্যু।
  • চিলি বনে আগুন (ফেব্রুয়ারি ২০২৪): দাবানলে ১৩১ জনের প্রাণহানি।
  • উত্তর আফ্রিকার তাপপ্রবাহ (মার্চ–এপ্রিল ২০২৪): হাজারো মৃত্যু।
  • ভারতের তাপপ্রবাহ (এপ্রিল–মে ২০২৪): দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ, ৬০ জন নিহত।
  • হ্যারিকেন বেরিল (জুলাই ২০২৪): ৬৪ জনের মৃত্যু, $৫ বিলিয়ন ক্ষতি।

বরফ গলন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি

২০২৪ সালে আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিকের বরফ কাভারেজ রেকর্ড কমে গেছে। এদিকে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি প্রসারিত হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

মানবিক বিপর্যয়

জলবায়ু সংকটের মানবিক মূল্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাপপ্রবাহ, রোগ বিস্তার এবং কৃষি ক্ষতির ফলে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত রাখতে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT