ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছে হামাস। এটা অবশ্যই ইসরায়েলের নৈতিক পরাজয়। ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যটাই এমন যে তাদের এই সিজফায়ারের মধ্যেও ওদের বর্বরতা সহ্য করতে হবে। হামাস হলো বিপ্লবী সংগঠন। তারা পাল্টা আঘাতে বিশ্বাসী।
ফাতাহ আসলে নীতিগতভাবে কতটা তাদের সাথে যায় সেটাই দেখার বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি একটি দেশ যত ছোট এবং কম জনসংখ্যারই হোক না কেন, তারা যদি এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে তাদেরকে কেউ মুছে দিতে পারবে না। পৃথিবীর মানুষ ফাতাহকেও হামাসের মতো বিপ্লবী হিসেবে দেখতে চায়, দুর্ভাগ্যবশত তারা বিগ ব্রাদারদের সাথে নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন চুক্তিতে জড়িয়েছে — যেটা তাদের বিপ্লবী রূপকে অনেকটা স্তিমিত করেছে।
পৃথিবীর মানুষ বিপ্লবী হামাস এবং ফাতাহর মধ্যে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য চায়। নীতিগতভাবে তাদেরকে এক থাকতে হবে, থাকতেই হবে।
ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলে তা ফিলিস্তিনিদের জন্য এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। এই ঐক্য তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতে সহায়তা করবে। যদিও দুই সংগঠনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, তবে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির জন্য ঐক্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবী জানে, যদি ফাতাহ ও হামাস একযোগে কাজ করে, তাহলে তাদের সংগ্রাম আরও শক্তিশালী হবে এবং তারা আন্তর্জাতিক স্তরে বড় ধরনের সমর্থন পেতে সক্ষম হবে। অতীতে তারা বিভিন্ন কারণে বিভক্ত হলেও, বর্তমান পরিস্থিতি তাদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করেছে। একসঙ্গে, তারা একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
লেখক: সমন্বয়ক, জুলাই বিপ্লব
Leave a Reply