খ্রিস্টপূর্ব ১৪৫৮ সালের দিকে মৃত্যু হওয়া ১৮তম রাজবংশের রানী হাটশেপসুট মিসরের খুব অল্পসংখ্যক নারী শাসকদের মধ্যে একজন ছিলেন।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা লাক্সরে রানী হাটশেপসুটের উপত্যকা মন্দিরের ভিত্তির অক্ষত অংশ এবং কাছেই রানী টেটি শেরির সমাধি আবিষ্কার করেছেন। টেটি শেরি ছিলেন মিসরের সোনালী যুগের প্রথম রাজা আহমোস প্রথমের দাদী।
বুধবার এই আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিক দলের নেতা এবং প্রাক্তন প্রত্নসম্পদ মন্ত্রী জাহি হাওয়াস। তিনি ২০২২ সাল থেকে এই স্থানে খননকাজ পরিচালনা করছেন। আবিষ্কৃত হয়েছে ১,০০০-এরও বেশি অলংকৃত পাথরের ব্লক, যা হাটশেপসুটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মন্দিরের প্রান্তে পাওয়া গেছে।
“এই প্রথম আমরা ১,৫০০ অলংকৃত ব্লক আবিষ্কার করেছি, যা আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর চিত্র, রঙসহ,” বলেছেন হাওয়াস।
সাইটে পাওয়া একটি চুনাপাথরের ট্যাবলেটে হাটশেপসুটের স্থপতি সেনমুটের নাম খোদাই করা ছিল। তিনিই মন্দিরটির নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
কাছেই আবিষ্কৃত রানী টেটি শেরির সমাধি ছিল আহমোস প্রথমের দাদীর। তিনি মিসরকে পূর্ব সিনাই থেকে আসা হিকসোস জনগোষ্ঠীর দখল থেকে মুক্ত করেছিলেন। টেটি শেরি আহমোসের রাজত্বের নবম বছরে মৃত্যুবরণ করেন, যা হাটশেপসুটের জন্মের প্রায় এক শতাব্দী আগে।
সরল এই সমাধিটি পাথরে খোদাই করা এবং এটি কাদামাটির ইট দিয়ে তৈরি এক খিলানযুক্ত চ্যাপেলের শেষ প্রান্তে অবস্থিত। সমাধির দেয়ালে সাদা প্লাস্টারের ওপর লাল রঙের চিত্র আঁকা ছিল।
রানী টেটি শেরির সমাধি আবিষ্কারও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি মিসরের ইতিহাসে এক শক্তিশালী নারী ছিলেন, যিনি দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এই আবিষ্কার প্রাচীন মিসরের শাসন ব্যবস্থার আরও গভীরতর ধারণা প্রদান করবে এবং ইতিহাসবিদদের জন্য নতুন দিক উন্মোচন করবে।
Leave a Reply