নোটিশ:
শিরোনামঃ
বিজিবির পা ধরে ক্ষমা চাইলো বিএসএফ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তিতে রেল টার্ন টেবিল উদ্ভাবন করে আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু ইউরোপে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয় সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ: লালমনিরহাটে আন্দোলন তীব্র উপদেষ্টাদের এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪০, আহত ১২০০, নেপথ্যে ইসরায়েল জাবিতে হামলার ঘটনায় ২৫৯ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত আন্ডারওয়ার্ল্ডের নতুন কৌশল: ‘মব’ সৃষ্টি করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আধিপত্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি সম্প্রসারণবাদী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৯ বার দেখা হয়েছে
মার্কিন সম্প্রসারণবাদ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নজর গ্রীনল্যান্ডে | ছবি: ফ্রান্স ২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের ইতিহাস নতুন করে আলোচনায় এসেছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডা, গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খালের উপর নজর দিয়েছেন। তার এই উচ্চাভিলাষী দাবিগুলো সত্যি হোক বা প্ররোচনামূলক, সেগুলো মার্কিন বিশেষত্বে (US exceptionalism) একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে, ইতিহাস কি আবার নিজেকে পুনরাবৃত্তি করবে?

সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা
ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার শপথ গ্রহণের আগেই, আমেরিকার অতীতের হস্তক্ষেপমূলক নীতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া কিছু সাহসী সম্প্রসারণবাদী ধারণা প্রকাশ করেছেন।

তার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোতে রয়েছে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব, পানামাকে গুরুত্বপূর্ণ খালের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার দাবি, এবং গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অধিগ্রহণের প্রস্তাব।

মার-আ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডেনমার্কের এটি নিয়ে কোনো আইনি অধিকার আছে কি না, কেউ জানে না। কিন্তু যদি থাকে, তাদের এটি ছেড়ে দেওয়া উচিত।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যগুলো বিশ্বব্যাপী বিতর্ক উসকে দিয়েছে, তবে মার্কিন হস্তক্ষেপের ইতিহাসে এগুলো নতুন কিছু নয়।

মার্কিন হস্তক্ষেপের ইতিহাস
আমেরিকার সম্প্রসারণবাদী ইতিহাসে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল দখল থেকে শুরু করে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত বহু অধ্যায় রয়েছে।

মেক্সিকো:
১৮৪৬ সালে মার্কিন-মেক্সিকো যুদ্ধের পর ১৮৪৮ সালের গুয়াদালুপ হিডালগো চুক্তির মাধ্যমে মেক্সিকো তার অধিকাংশ উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা হারায়। এতে বর্তমান ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা এবং অ্যারিজোনা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে ওঠে।

কিউবা:
কিউবা ১৮৯৮ সালে স্প্যানিশ-আমেরিকান যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের দখলে আসে। ১৯০৬ সালে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ কিউবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য হয়েছিল।

নিকারাগুয়া:
নিকারাগুয়া ১৯১২ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন সামরিক দখলে ছিল। এই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল।

হাইতি:
হাইতির উপর ১৯১৫ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত মার্কিন দখল কার্যকর ছিল। এই হস্তক্ষেপ মূলত মার্কিন বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ছিল।

ডোমিনিকান রিপাবলিক:
ডোমিনিকান রিপাবলিকে ১৯১৬ সালে মার্কিন হস্তক্ষেপ হয়, যা ১৯২৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

পানামা:
১৯০৩ সালে পানামা স্বাধীনতা লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়। যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এটি ১৯৯৯ পর্যন্ত পরিচালনা করে।

ট্রাম্পের সম্প্রসারণবাদী উচ্চারণ
ট্রাম্পের কানাডা, গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খাল নিয়ে মন্তব্যগুলো অনেকের কাছে নাটকীয় মনে হলেও, এগুলো আমেরিকার সামরিক এবং রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে তার প্রভাব বিস্তারের দীর্ঘ ইতিহাসের প্রতিফলন।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT