যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে, যা চীনের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ও মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
নিউজ উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (তারিখ) ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করে। এতে ফিলিপাইনের একাধিক এফএ-৫০ যুদ্ধবিমান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্মিত টি-৫০ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সুপারসনিক বি-ওয়ানবি বোমারু বিমান এতে যোগ দেয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এর মাত্র এক মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্র গুয়ামের অ্যান্ডারসন বিমানঘাঁটিতে বি-ওয়ান বোমারু বিমান পাঠিয়েছিল। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার বৃদ্ধি, চীনের সঙ্গে চলমান বৈরী সম্পর্ক এবং মিত্র দেশ জাপান ও ফিলিপাইনের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে মার্কিন প্রশাসন এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়।
গেল বছর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে। এ সময়ে চীনা বাহিনী ও ফিলিপাইনের সেনাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার জলকামান নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।
ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো মিত্র। দুই দেশের মধ্যে সাত দশক পুরোনো একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় সহায়তা করে। দীর্ঘদিন ধরে এই চুক্তি বহাল রয়েছে এবং নতুন মার্কিন প্রশাসনগুলোর অধীনেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা বাড়ানো এবং ফিলিপাইনের সঙ্গে যৌথ মহড়া চালানো চীনের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে। যদিও ওয়াশিংটন বলছে, এটি তাদের মিত্রদের সুরক্ষার অংশ, তবে চীন এই পদক্ষেপকে উসকানিমূলক হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
Leave a Reply