ভারতের বিজেপি নেতা সুবেন্দু অধিকারী বাংলাদেশকে সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ আর ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ পাবে না। মোদী সরকারও ভেবেছিল এটি বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি সুযোগ। তবে, ভারতীয় কৃষকদের আলু-পেঁয়াজ পচতে শুরু করলে নয়াদিল্লি বুঝতে পারে যে, এই পদক্ষেপের প্রভাব উল্টো ভারতের ওপরই পড়েছে।
বাংলাদেশ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশ এবং এখান থেকে ভারত উল্লেখযোগ্য আয় করে। তাই, বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না করেও, ভারতের নেতারা বাংলাদেশকে হুমকি দিয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে, যা বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। এর প্রতিবাদে, তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে, আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ভারতের কৃষকরা ব্যাপক বিক্ষোভ করছে।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায়, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন না। এর ফলে, ভারতের কৃষকরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছে।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে এবং কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এতে পুরো দেশজুড়ে পেঁয়াজ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আরও কার্যকরী পরিকল্পনা নিয়েছে এবং গ্রীষ্মকালে দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। তবে, ভারতীয় কৃষকদের হতাশা ও ক্ষতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এর সিদ্ধান্তের উপর ভারতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এবং কৃষকরা সরকারের প্রতি তাদের দাবি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরছেন, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ন্যায্য মূল্য পান।
Leave a Reply