দেশের প্রথম বাংলা ডিজিটের ক্যালকুলেটর বানালেন ড. মাহমুদ হাসান - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
নওগাঁয় নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার, বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় শেকৃবি ক্যাফেটেরিয়ায় চরম অব্যবস্থা, নোংরা পরিবেশ ও নিম্নমানের খাবারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্রিকেট উৎসব ‘ইহুদী-বিদ্বেষী’ তকমা পাচ্ছে ইলন মাস্কের এআই গ্রক! দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যা – পানিবন্দি লাখো মানুষ দাখিলে দেশসেরা ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদরাসা, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন! দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮.০৯% চলতি বছরের এসএসসি ফলাফলে নাটকীয় পতন – পাস হার ও জিপিএ-৫ উভয়ই কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে অন্বেষণ কোচিংয়ের লাইভ ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষিকার অশ্লীলতা, চারজনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ স্পেনে অভিবাসন-বিরোধী ভক্সের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করলেন সাংসদ রুফিয়ান

দেশের প্রথম বাংলা ডিজিটের ক্যালকুলেটর বানালেন ড. মাহমুদ হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৯ বার দেখা হয়েছে
ক্যালকুলেটর হাতে ড. মাহমুদ হাসান
ক্যালকুলেটর হাতে ড. মাহমুদ হাসান
ক্যালকুলেটর স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে বাংলা সংখ্যা, স্ক্রিনে ফুটে উঠছে ১২৩৪…। বাংলা সংখ্যা দিয়ে ডিজিটাল ক্যালকুলেটর (বাংলা ডিজিটের ক্যালকুলেটর ) তৈরি করেছেন ড. মাহমুদ হাসান। ক্যালকুলেটরটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ধারাপাত’।
সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর লাল বোতাম। সেখানে বাংলায় সংখ্যা চিহ্নিত করা আর লেখা আছে জমা, সাফ, এবং থোক। বাংলাদেশের পতাকা থেকেই নকশার অনুপ্রেরণা নেয়া হয়েছে ক্যালকুলেটরটির। ৩৬ বছর আগে থেকে বাংলায় ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখা ড. মাহমুদ হাসান এই বছর বইমেলায় একটি স্টলে তার ক্যালকুলেটর ‘ধারাপাত’ এবং বাংলা ডিজিটাল ঘড়ি ‘ধারাক্রম’ উন্মুক্ত করেন। ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে তিনি এ বিষয়ে বাংলা অ্যাকাডেমিতে গবেষণা করেন। বাংলা ফন্ট তৈরি, মুনীর চৌধুরীর কি-বোর্ড লেআউটের উন্নতি করা, বাংলা কি-বোর্ডে যুক্তাক্ষর নতুন করে বিন্যাস করা সহ আরও নানা কাজ করেন তিনি সেসময়। এছাড়াও, BASCII (Bangla Academy Standard Code for Information Interchange) প্রকল্প নিয়েও কাজ করেন ড. মাহমুদ হাসান।
ডিজিটাল স্ক্রিনে ইংরেজি সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য ৭ টি সেগমেন্টের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এই ৭ সেগমেন্ট ডিসপ্লেতে বাংলা সংখ্যাগুলো প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, তাই তিনি আবিস্কার করেন ১২ সেগমেন্টের ডিসপ্লে। ১২ টি সেগমেন্ট দিয়ে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সব সংখ্যা ফুটিয়ে তোলা যায় ধারাপাত ক্যালকুলেটরে। ১৯৮৮ সালে তিনি সরকারের কাছে বাংলা ডিজিটের ক্যালকুলেটর  তৈরির জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান চাইলে তা দেয়া হয়নি। ৩৬ বছর পর ২০২৫ সালে তিনি নিজ উদ্যোগেই তৈরি করেন এই ক্যালকুলেটর।
এখনো বিক্রির জন্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব না হওয়াতে তিনি সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখার জন্য বইমেলায় উন্মুক্ত করেন তার আবিস্কার। শিশুদের মন থেকে গণিত ভীতি দূর করার জন্য, এবং বাংলা ভাষাকে পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যেই তিনি এ ক্যালকুলেটর আবিস্কার করেন। গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরাও যেনো ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারে, ধারাপাত এক্ষেত্রে হবে উল্লেখযোগ্য আবিস্কার। কৃষিকাজের হিসাব করার জন্য আরেকটি ভার্সন আনার পরিকল্পনাও জানান তিনি।
ড. মাহমুদ হাসান তার আবিস্কার থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে চান না। ১২ সেগমেন্টের বাংলা ডিসপ্লে ব্যবহার করে যে কেউ বাংলা সংখ্যাকে ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে এবং তারা যেনো বাংলা ভাষাকে ছড়িয়ে দেয় ডিজিটাল ক্ষেত্রে, এটাই ড. মাহমুদ হাসানের প্রত্যাশা।
সূত্র: Science Bee

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT