আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এখনও ডলারকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখছেন, যদিও মূল্যস্ফীতি এবং শ্রমবাজার বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা স্পষ্ট।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায়শই অস্থিরতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি মিত্র দেশগুলোকে জমি দখলের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে রূপান্তরিত করার জন্য অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকা শক্তি বলে বিবেচিত, এবং চীনের মতো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপ করতে চান, যা গড় মার্কিন ভোক্তার জন্য প্রতিদিনের পণ্য সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
তাত্ত্বিকভাবে, তার এই আচরণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে বাধ্য করার কথা। কারণ, যখনই সামরিক আগ্রাসন, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা এবং শ্রমবাজার বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তখন সাধারণত “স্মার্ট মানি” পিছু হটে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।
মার্কিন ডলার ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
ডলারের এই ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে, যখন ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্ট হতে শুরু করে।
মূল কারণ এবং ডলারের শক্তি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের অস্বাভাবিক অর্থনৈতিক নীতিই ডলারকে শক্তিশালী করছে।
বিস্তৃত শুল্ক, অভিবাসন নীতি এবং কর ছাড়ের মতো নীতিগুলো আমদানি ব্যয় বাড়াবে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াতে হবে, যা ডলারের প্রতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়াবে।
কতদিন এই ঊর্ধ্বগতি থাকবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডলারের বর্তমান বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকবে কিনা, তা নির্ভর করবে ট্রাম্পের নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির শক্তির উপর। যদিও ডলারের শক্তি সাময়িকভাবে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ট্রাম্পের নীতি অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
Leave a Reply