এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণির অস্তিত্ব বিজ্ঞানে এখনো প্রমাণিত নয়। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান যে মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গাখ্যাত আমাদের ছায়াপথেই এক হাজার থেকে দশ কোটি গ্রহে মহাজাগতিক সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে। ড্রেক সমীকরণ নামক একটি সমীকরণ আছে যেটাতে বিভিন্ন মান বসিয়ে এটি নির্ণয় করা হয়েছে। সামগ্রিক বিচারে এলিয়েনের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে তিন অবস্থার যে কোনো একটি হতে পারে:
১। এলিয়েন আছে এবং তারা বুদ্ধি-বিবেক ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষের চেয়ে উন্নত।
২। এলিয়েন আছে তবে তারা মানুষ অপেক্ষা নিম্নশ্রেণির জীব, চাইতা ডায়নোসরের মত অতিকায় হোক অথবা শৈবাল-ছত্রাকের মত ক্ষুদ্রই হোক।
৩। এলিয়েন নেই।
পবিত্র কুরআন মাজিদে কিছু আয়াত আছে যেগুলোর দিকে ইশারা করে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু আলেম ও স্কলাররা বলছেন যে কুরআনে এলিয়েন থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক আয়াতগুলো :
اللَّهُالَّذِيخَلَقَسَبْعَسَمَاوَاتٍوَمِنْالأَرْضِمِثْلَهُنَّيَتَنَزَّلُالأَمْرُبَيْنَهُنَّلِتَعْلَمُواأَنَّاللَّهَعَلَىكُلِّشَيْءٍقَدِيرٌوَأَنَّاللَّهَقَدْأَحَاطَبِكُلِّشَيْءٍعِلْمًا
অর্থ: তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ যমীন সৃষ্টি করেছেন; এগুলির মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞানতো সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে (সুরা তালাক্ব, আয়াত: ১২)। এছাড়াও,
وَمِنْآيَاتِهِخَلْقُالسَّمَاوَاتِوَالأَرْضِوَمَابَثَّفِيهِمَامِنْدَابَّةٍوَهُوَعَلَىجَمْعِهِمْإِذَايَشَاءُقَدِيرٌ
অর্থ: আর তাঁর অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এ দুয়ের মধ্যে তিনি যে সকল জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো; আর তিনি যখন ইচ্ছে তখনই তাদেরকে সমবেত করতে সক্ষম (সুরা শূরা, আয়াত: ২৯)।
প্রথমে বর্ণিত সুরা তালাকের ১২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেন, আল্লাহ তাআলা যেহেতু জানিয়েছেন যে তিনি সাত আসমান ও সাত জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং এগুলোর মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় কাজেই নিশ্চয় এই সাত আসমান ও সাত জমিনে মানুষ ছাড়া আরও প্রাণ আছে নাহলে কাদের প্রতি নির্দেশ অবতীর্ণ হবে?
২য় আয়াতের ব্যাখ্যায় তারা বলেন, আল্লাহ তাআলা নিজেই বলছেন যে তিনি আসমান ও জমিন সমূহের মধ্যে জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এলিয়েনের অস্তিত্ব তো কুরআন থেকে প্রমাণ হয়েই গেল।
এক্ষেত্রে, এলিয়েনের ব্যাপারে কুরআন-হাদিসের অবস্থান নিয়ে আমার নিজস্ব অভিমত এই লেখায় তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।
প্রথম কথা হলো, এলিয়েনের অস্থিত্ব সম্পর্কে সুনিশ্চিত জ্ঞান রাখাটা এমন কোনো জরুরী বিষয় নয় যেটার উপর আমাদের জান্নাত-জাহান্নাম নির্ভর করছে। না কবরে, না হাশরে এই সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করা হবে। আর কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যেটিতে কোনো বাহুল্য নেই, মানব জাতির ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন অহেতুক তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করে এর কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। তাই যেহেতু কুরআনে এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই, কাজেই এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ হওয়া না হওয়ার সাথে কুরআনের কোনো বিরোধ নেই। অর্থাৎ, বিজ্ঞানীরা যদি এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে ফেলেন তাহলে একজন মুসলমানের তা মানতে যেমন কোনো আপত্তি থাকবে না, তেমনি কোনোদিনই এলিয়েনের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলেও তার কোনো সমস্যা থাকবে না।
তবু যেহেতু এলিয়েনের বিষয়টি কৌতুহলোদ্দীপক, এবং এই নিয়ে যেহেতু কিছু কিছু স্কলার কুরআ্ন-হাদিসের সাথে সম্বন্ধ টেনেছেন এজন্যই আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। স্মর্তব্য যে, উপরে উল্লেখিত যে আয়াতদুটো প্রধানত এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমাণ স্বরূপ উত্থাপন করা হচ্ছে সেগুলো অধুনাকালের প্রচেষ্টা। পূর্ববর্তী মুফাসসিরগণ এইসব আয়াতের অর্থে ভিনগ্রহে প্রাণির অস্তিত্ব সংক্রান্ত কোনো কথা বলেননি। বরঞ্চ তাফসিরে ইবনে কাসির, তাফসিরে মারেফুল কুরআন এর মতো তাফসিরগুলোতে সাত আসমান ও সাত জমিনের প্রতি নিছক ঈমান রাখতেই তাগিদ দেওয়া হয়েছে, এদের স্বরূপ উদঘাটনের পেছনে না পড়তে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, সাত আসমান ও সাত জমিনেরই স্পষ্ট তাফসির করা সম্ভব হয়নি, আর এলিয়েনের কথা তো তাঁরা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি। অবশ্য সাত আসমানের ব্যাপারে কুরআন-হাদিস মিলিয়ে আরেকটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে, কিন্তু সাত জমিনের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।
সাম্প্রতিক সময়ের শ্রেষ্ঠ তাফসিরগ্রন্থ তাফসিরে তাওযীহুল কুরআন, কিংবা তাফসিরে আহসানুল বায়ান, তাফসিরে যাকারিয়াতেও এলিয়েনের অস্তিত্বের ব্যাপারটা আসেনি। অর্থাৎ, এই আয়াতগুলো থেকে এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমাণ দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা বহুল প্রচলিত বিশুদ্ধ তাফসিরগ্রন্থগুলোতে আমরা দেখি না। তাই আমরা বলতে পারি, এলিয়েনের অস্তিত্বের বিষয়ে কুরআনের আয়াতকে সাব্যস্ত করার ব্যাপারটি পূর্ববর্তী মুফাসসিরগণের ধারা ছিল না, এবং এখনকার মুফাসসিরগণের ধারাও নয়। এটি নিছকই কিছু বিজ্ঞানমনস্ক ও ইসলামমনস্ক মুসলমান (ক্ষেত্রবিশেষে এক-দুইজন ইসলামিক স্কলার) এর বিচ্ছিন্ন অভিমত।
দ্বিতীয়ত যে বিষটি লক্ষনীয় তা হলো, এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে সুরা তালাক্বের ১২ নং আয়াতটিকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হলেও তার কিন্তু ভিন্ন সরল অর্থও বের করা সম্ভব। উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ যমীন সৃষ্টি করেছেন; এগুলির মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়…”। এখানে সাত আসমান ও সাত জমিনে আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় এই কথা থেকে এলিয়েনদের প্রতি নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার অর্থ বের করাটা আমার কাছে কষ্টকল্পনা মনে হয়। কারণ, শুধু কি প্রাণির উপরই আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়? চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র এগুলোও তো আল্লাহর হুকুমে নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে। এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত সৃষ্টিনিচয়ই তো তাঁর নির্দেশের অধীন। আল্লাহর তাআলার নির্দেশেই তো আগুন পোড়ায়, পানি ডোবায়। এককথায় আল্লাহ তাআলার নির্দেশ ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না। তাই আল্লাহ তাআলার নির্দেশ বলতে এমন কিছু বোঝায় না যে সেই নির্দেশ কেবল কোনো না কোনো জীবের উপর হতে হবে। অর্থাৎ, আসমান-যমীনের মাঝে যত জীব (যেমনঃ মানুষ, পশু-পাখি) অথবা জড়বস্তু রয়েছে সবার উপরই আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হচ্ছে। তাই এই আয়াত থেকে এলিয়েনের অর্থ খোঁজা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় না।
আর সুরা শূরার উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় যতটা না এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় তারচেয়ে বেশি অনস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। কারণ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় এলিয়েনের অস্তিত্ববাদীরা বলেন—আল্লাহ বলেছেন, তিনি আসমানসমূহ ও পৃথিবীসমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রাণ ছড়িয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু আরবি ইবারতের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, আল্লাহ আসমানের ক্ষেত্রে বহুবচন ‘سماوات’ পদটি ব্যবহার করেছেন (একবচন হলে سمـاء হত), অথচ পৃথিবীর ক্ষেত্রে একবচন ‘الارض’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন (বহুবচনে أَرَاضٍ অথবা أَرَضُون)।অর্থাৎ, এর অনুবাদ আসমান ও পৃথিবীসমূহ নয়, বরং আসমানসমূহ ও পৃথিবী। অর্থাৎ, ‘তাঁর অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এ দুয়ের মধ্যে তিনি যে সকল জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো’ এই কথার দ্বারা উপরের সাত আকাশ ও নিচের একটি পৃথিবীর মধ্যে যত প্রাণ আছে আল্লাহ তাআলা সেগুলোর কথা বললেন। সেক্ষেত্রে আমরা জানি, প্রত্যেক আসমানে অসংখ্যক ফেরেশতা আছে। আর পৃথিবীতে বহু প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। অর্থাৎ এই আয়াত থেকে পৃথিবী হিসেবে শুধুমাত্র এইপৃথিবীতেই জীব-জন্তু (তথা প্রাণ) এর অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়।তাহলে এই আয়াতকে এলিয়েনের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের অবকাশ কোথায়?
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা গেল, কুরআনের একটি আয়াতও এলিয়েনের অস্তিত্বের কথা বলছে না।প্রশ্ন হলো, তাহলে কি এলিয়েন নেই? উত্তর হচ্ছে, থাকতেও পারে, কিন্তু অন্তত কুরআনে তার প্রমাণ নেই। যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নিই যে এলিয়েন আছে, তাহলে এলিয়েনরা মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হবার ব্যাপারে কুরআন কি কিছু বলছে? এই ব্যাপারে কুরআনের কিছু আয়াত থেকে আমার মনে হয়েছে, এলিয়েন থাকলেও তারা হয়তবা মানুষের চেয়ে উন্নত নয়। কারণ, সুরা তাকভীরের ২৭ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা কুরআন সম্পর্কে বলছেন,
اِنۡهُوَاِلَّاذِکۡرٌلِّلۡعٰلَمِیۡنَ
অর্থঃ আর এটাতো জগৎসমূহের জন্য উপদেশ।
অপরদিকে, সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ)কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَمَاۤاَرۡسَلۡنٰکَاِلَّارَحۡمَۃًلِّلۡعٰلَمِیۡن
অর্থ: আর আমি তো তোমাকে জগৎসমূহের জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।
আয়াতের العالمين (আ’লামিন) শব্দটি عالم (আ’লাম) শব্দের বহুবচন। মানব, জিন, জীবজন্তু, উদ্ভিদ, জড় পদার্থসমূহ সবই থেকে শুরু করে আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টিই আ’লামিনের অন্তর্গত। অর্থাৎ, পুরো ইউনিভার্সটাই আ’লামিন। এই দুই আয়াত থেকে বোঝা গেল, কুরআন সমস্ত ইউনিভার্সের জন্যই উপদেশ, আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) সমগ্র ইউনিভার্সের জন্যই রহমতস্বরূপ। অর্থাৎ, যদিওবা পৃথিবীতে জ্বীন ও মানুষ ছাড়া অন্য কোনো জীব ও জড়ের জন্য শরিয়ত নেই, কিন্তু কুরআন ব্যাপক অর্থে এই পৃথিবীর সব কিছুর জন্যই উপদেশ, এবং নবীজিও পৃথিবির সকল জীব-জড়ের জন্যই রহমত। কিন্তু যেহেতু জ্বীন ও মানুষের জন্য শরিয়ত আছে, কাজেই কুরআন এবং নবীজি (দঃ) এর অনুসরণ করার বিষয়ে তাদের বাধ্যবাধকতা আছে, আখেরাতে তাদের এই নিয়ে হিসাব-নিকাশ দেওয়ার বিষয় আছে। সেই হিসেবে মহাবিশ্বে অন্য কোথাও প্রাণ থাকলে তাদের জন্যও কুরআন উপদেশ এবং নবীজি তাদের জন্যও রহমত। সেক্ষেত্রে তারা যদি জ্বীন বা মানুষের চেয়ে উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে তাদের জন্যও কুরআনের হুকুম নবীজির সুন্নাত মান্য করার বাধ্যবাধকতা এসে পড়ে। কিন্তু যেহেতু তারা কুরআন এবং নবীজির সন্ধান পায়নি, তাহলে আখেরাতে তারা উৎরাবে কেমন করে? কিন্তু আল্লাহ তো বলেছেন, “‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনো কাজের ভার দেন না (বাকারা: ২৮৬)।” এই থেকে বোঝা গেল, তাদের জন্য শরিয়ত নেই, যার অর্থই হলো তারা নিম্নশ্রেণীর জীব।
অর্থাৎ, পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বিশ্লেষণ করে আমরা পেলাম, প্রথমত, এলিয়েন বলে কিছু আছে কিনা তা কুরআন থেকে যদিও নিশ্চিত হওয়া যায় না, তবে যদি থেকেও থাকে তাহলে কুরআন থেকে অনুমিত হচ্ছে যে তারা জ্বীন ও মানুষের চেয়ে নিম্নশ্রেনীর বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন; হতে পারে তারা ডায়নোসরের মতো অতিকায় প্রাণী, অথবা হতে পারে শৈবাল-ছত্রাকের মতো ক্ষুদ্রও।
এরপর আসা যাক হাদিসের প্রসঙ্গে। তাফসিরে আহসানুল বায়ানে বলা হয়েছে, “কেউ কেউ এটাও বলেন যে, প্রত্যেক যমীনে ঐ রকমই পয়গম্বর রয়েছেন, যে রকম পয়গম্বর তোমাদের যমীনে এসেছেন। যেমন, আদমের মত আদম, নূহের মত নূহ। ইবরাহীমের মত ইবরাহীম। ঈসার মত ঈসা (আলাইহিমুস সালাম)। কিন্তু এ কথা কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।”
যেহেতু এই হাদিসটি সহীহও নয়, আবার হাদিসটির মর্মও অজ্ঞাত, কাজেই এই হাদিস থেকে সিদ্ধান্ত টানা সমীচীন হবে না। কাজেই কুরআন ও হাদিস মন্থন করে এই তথ্যই পাওয়া গেল যে ইসলামে ভিনগ্রহী এলিয়েনের ব্যাপারে তেমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। বিজ্ঞান যদি এর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারে, তাতে কুরআন-হাদিস অনুযায়ী কারো কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে কুরআন থেকে ইশারা পাওয়া যাচ্ছে যে এমন কোনো প্রাণী থেকে থাকলেও তাদের বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে কম হওয়ারই কথা । মহান আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
Leave a Reply