ঢাকা | মে ২৩, ২০২৫
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ-সংক্রান্ত গুঞ্জন ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা মহল ও দিল্লির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এ খবরে চরম উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে— এমন তথ্য মিলেছে কূটনৈতিক সূত্রে।
বিশ্লেষকদের মতে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকার যদি নেতৃত্ব সংকটে পড়ে, তবে তা ভারতের জন্য একটি “দ্বিতীয় সুযোগ” তৈরি করবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত চাইছে, বাংলাদেশে আবারও তাদের প্রভাবশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে। এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগকে ভারতীয় লবি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ড. ইউনূস তার ঘনিষ্ঠদের সামনে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানান। এরপর কিছু রাজনৈতিক দল বিকল্প নেতৃত্ব খোঁজার উদ্যোগ নেয়। যদিও শনিবারের মধ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে এবং ড. ইউনূস দায়িত্বে থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তবে তার চারপাশের উপদেষ্টাদের মধ্যে মতানৈক্য স্পষ্ট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেন, “রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই সরকারের নেতৃত্ব থেকে এখনই সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে জনগণের মনোবল ভেঙে পড়বে এবং আন্দোলনের মৌলিক অর্জন হুমকির মুখে পড়বে।”
এদিকে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলের ভেতরে থাকা ভারতঘেঁষা শক্তি এই সংকটকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছড়ানোর চেষ্টাও লক্ষ্য করা গেছে।
আজ সন্ধ্যায় জরুরি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকার পরিচালনায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা হতে পারে।