প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫
সোমবার (৩০ জুন) রাতে ভুক্তভোগী তরুণী নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত কনস্টেবল আইনুল হক ধর্মপাশা থানায় কর্মরত। তার বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে। তরুণী নেত্রকোনার একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে তরুণীর সঙ্গে আইনুল হকের পরিচয় হয় এবং সময়ের সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা নিয়মিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করতেন ও দেখা-সাক্ষাৎ করতেন।
গত ২৬ জুন তরুণী মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে গেলে আইনুল তাকে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
তরুণী জানান, ২৮ জুন পরীক্ষা শেষে বিয়ের কথা তুললে আইনুল হক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে ২৯ জুন রাতে তিনি ধর্মপাশা থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে অবহিত করেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তরুণীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।