রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে শহরের মাধবপুর মহল্লায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
আজকের এ মতবিনিময়ে ডা. সানসিলা বলেন, “গত ৪৩ বছর ধরে শেরপুর-১ আসনে বিএনপির কোনো সংসদ সদস্য নেই। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে। প্রচার মিছিলে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, এমনকি আমার কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি বলেন, “আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে এবং আমাকে যদি শেরপুর সদর থেকে নির্বাচিত করা হয়, তাহলে অবহেলিত শেরপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। আমি শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে আসিনি, বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে এসেছি।”
বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব মতবিরোধ ভুলে গিয়ে এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেরপুরের স্বার্থে কাজ করার। বিএনপির সবাইকে এই আহ্বান জানাই।”
সভায় বক্তব্য দেন শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আহ্বায়ক আলহাজ মো. হযরত আলী। তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তন হলেও এখনো প্রশাসনে আগের সরকারের নিয়োজিত প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করছে না। কিছু প্রভাবশালী দ্বারা অফিস-আদালত পরিচালিত হচ্ছে।”
মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ বি এম মামুনুর রশিদ পলাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ সাইফুল ইসলাম স্বপন, এস এম শহিদুল ইসলাম, জাফর আলী, হাসানুর রেজা জিয়া, মো. রমজান আলী, মো. রেজাউল করিম রুমি, তেরা বাজার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ শফিউল আলম চাঁন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ, সদস্য সচিব আওয়াল সরকারসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।